ভারত ও চীন বাহিনী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত ৬ ই জুন দু'দেশের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল লেবেলের আলোচনা LAC-র কাছে চুশুল মলদোয় অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসার লেঃ জেনারেল হরিন্দর সিং এই বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন, এবং মেজর জেনারেল লিউ লেন নেতৃত্বে ছিলেন চীনের পক্ষে। উভয় দেশের সামরিক কমান্ডাররা সীমান্ত বিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সভার পরেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।
ভারত ও চীনের মধ্যকার বিরোধ বুঝতে আমাদের ১৯১৪ সালে যেতে হবে যখন ভারত ব্রিটিশদের দখলে ছিল। এ সময় সিমলায় একটি সম্মেলন হয়েছিল। এই সম্মেলনে তিনটি দল ছিল - ব্রিটেন, চীন এবং তিব্বত। সম্মেলনে ভারতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব হেনরি ম্যাকমোহন ব্রিটিশ ভারত এবং তিব্বতের মধ্যে একটি সীমানা আঁকেন। একে 'ম্যাকমাহোন লাইন' বলা হয়। পরবর্তী সময়ে চীন তিব্বতকে দখল করে নেয়। এই কারণে, ভারত আধিকারীক রূপে এই লাইনটিকে চীনের সাথে নিজের সীমানা হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করে। তবে চীন বলে যে ভারত এবং তাদের মধ্যে সরকারীভাবে কখনও সীমানা নির্ধারণ করাই হয়নি। চীন বলেছে যে শিমলা চুক্তিতে ব্রিটেন এবং তিব্বতের প্রতিনিধিরা গোপনে নিজেরদের মনমতো সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ভারতের অবস্থান দুটি বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট এবং এই দুটি বিষয় কোনওভাবেই আপস করা যায় না। প্রথমত, LAC তে অবকাঠামোগত কাজ বন্ধ বা ধীর করা হবে না এবং দ্বিতীয়ত, চীনকে আর কোনও মূল্যে অগ্রসর হতে দেওয়া হবে না। ভারত এও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আলোচনার মাধ্যমে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ সমাধান করতে ইচ্ছুক।
ভারত আলোচনার মাধ্যমে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ সমাধান করতে ইচ্ছুক। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে বিভাগীয় কমান্ডার স্তরের তিনটি বৈঠক করা হয়েছে ব্রিগেডিয়ার এবং কর্নেল পদের আধিকারিকদের সাথে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি LAC-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। দুই দেশের মধ্যে ৭৩ দিনের টানাপোড়নের পরে ২০১৭ সালেও ডোকলামেও চীনকে পিছু হটতে হয়েছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসার লেঃ জেনারেল হরিন্দর সিং এই বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন, এবং মেজর জেনারেল লিউ লেন নেতৃত্বে ছিলেন চীনের পক্ষে। উভয় দেশের সামরিক কমান্ডাররা সীমান্ত বিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সভার পরেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।
দুদেশের মধ্যে বিবাদের মূল কারণ। ১৯১৪ সালে ভারতের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল:
ভারত ও চীনের মধ্যকার বিরোধ বুঝতে আমাদের ১৯১৪ সালে যেতে হবে যখন ভারত ব্রিটিশদের দখলে ছিল। এ সময় সিমলায় একটি সম্মেলন হয়েছিল। এই সম্মেলনে তিনটি দল ছিল - ব্রিটেন, চীন এবং তিব্বত। সম্মেলনে ভারতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব হেনরি ম্যাকমোহন ব্রিটিশ ভারত এবং তিব্বতের মধ্যে একটি সীমানা আঁকেন। একে 'ম্যাকমাহোন লাইন' বলা হয়। পরবর্তী সময়ে চীন তিব্বতকে দখল করে নেয়। এই কারণে, ভারত আধিকারীক রূপে এই লাইনটিকে চীনের সাথে নিজের সীমানা হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করে। তবে চীন বলে যে ভারত এবং তাদের মধ্যে সরকারীভাবে কখনও সীমানা নির্ধারণ করাই হয়নি। চীন বলেছে যে শিমলা চুক্তিতে ব্রিটেন এবং তিব্বতের প্রতিনিধিরা গোপনে নিজেরদের মনমতো সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট :
ভারতের অবস্থান দুটি বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট এবং এই দুটি বিষয় কোনওভাবেই আপস করা যায় না। প্রথমত, LAC তে অবকাঠামোগত কাজ বন্ধ বা ধীর করা হবে না এবং দ্বিতীয়ত, চীনকে আর কোনও মূল্যে অগ্রসর হতে দেওয়া হবে না। ভারত এও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আলোচনার মাধ্যমে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ সমাধান করতে ইচ্ছুক।
এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান সূত্র বেরিয়ে এলনা:
ভারত আলোচনার মাধ্যমে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ সমাধান করতে ইচ্ছুক। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে বিভাগীয় কমান্ডার স্তরের তিনটি বৈঠক করা হয়েছে ব্রিগেডিয়ার এবং কর্নেল পদের আধিকারিকদের সাথে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি LAC-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। দুই দেশের মধ্যে ৭৩ দিনের টানাপোড়নের পরে ২০১৭ সালেও ডোকলামেও চীনকে পিছু হটতে হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.