গভীর ষড়যন্ত্র: চীন ভারতকে লাদাখে ঝামেলায় জড়িয়ে রেখেছে, এই সুযোগে পাকিস্তান রচনা করছে বড় মিশন- কাশ্মীর।

ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে। এই বৈঠক চলাকালীন পাকিস্তান আর্মির চিফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, এয়ারফোর্স চিফ মুজাহিদ আনোয়ার খান এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল জাফর মাহমুদ আব্বাসী বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এই বৈঠক পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI ডেকেছিল।

কাশ্মীর নিয়ে তৈরি করা রণনীতি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ISPR জানিয়েছে যে বৈঠককালে নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অফ কনট্রোল) ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একই সাথে ISI তিন সেনা প্রধানকে আঞ্চলিক সুরক্ষা সম্পর্কিত বিস্তৃত তথ্য সরবরাহ করেছে। ISPR বলেছে এই সময় সমস্ত আধিকারিক ISI এর কাজের প্রশংসা করেছে।

কাশ্মীরে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে:

ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী চীনের সঙ্গে উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে ISI এর নির্দেশে বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসবাদীকে কাশ্মীরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করতে পারে। এই সময়কালে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের( সিজ ফায়ার) হারও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারত চীনের মোর্চার সাথে ব্যস্ত দেখে পাকিস্তান তার পক্ষে সম্ভব সব রকমের প্রয়াস করতে পারে।

ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের কোমর ভেঙে দিয়েছে:

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মহানির্দেশক দিলবাগ সিং বলেছেন যে, গত ১৭ দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২৭ জঙ্গি নিহত হয়েছে। মরিয়া, সন্ত্রাসীরা এখন নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে। সিং দোডা জেলায় বলেছেন যে কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে আমরা গত ১৬ থেকে ১৭ দিনের মধ্যে ২৭ জন সন্ত্রাসীকে মেরে ফেলেছি। এই সন্ত্রাসীরা লস্কর-ই-তৈয়বা, জাইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের ছিল।

মরিয়া সন্ত্রাসীরা নিরীহদের হত্যা করছে:

ডোডা জেলায় সুরক্ষা পর্যালোচনা সভা চলাকালীন ডিজিপি বলেছিলেন যে এই সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। এতে কেবল সরকারই নয়, কাশ্মীর উপত্যকার জনগণকেও ক্ষুব্ধ করেছে। গত সপ্তাহে অনন্তনাগ জেলায় জঙ্গিদের দ্বারা নিহত কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন যে এই অঞ্চলটি প্রতিদিন নিরাপত্তার জন্য টহল দেওয়া হচ্ছে।