পাকিস্তানে হিন্দুদের প্রকাশ্যে হুমকি, যদি মন্দির বানাও তাহলে শিরচ্ছেদ করা হবে। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০

পাকিস্তানে হিন্দুদের প্রকাশ্যে হুমকি, যদি মন্দির বানাও তাহলে শিরচ্ছেদ করা হবে।

নতুন দিল্লি: পাকিস্তান সরকার এখন মন্দির সম্পর্কিত ইসলামিক আইডোলজি কাউন্সিলের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া আশরাফিয়ায় মুফতি জিয়াউদ্দিন বলেছে যে অমুসলিমদের মন্দির বা অন্যান্য ধর্মীয় স্থান নির্মাণে সরকারী অর্থ ব্যয় করা যায় না।
Hindu in pakistan openly threaten to be heheaded if they build temples, krishna mandir in pakistan
পাকিস্তানে হিন্দুদের না পূজাপাঠ করার অনুমতি আছে, না মন্দির তৈরি করার। এটার প্রমাণ তো ইসলামাবাদে কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা থেকে পাওয়া যায়। পাকিস্তানি মৌলবাদী মুসলমানরা কেবল মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করেনি, বরং মন্দিরের ভিতটিও খুঁড়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলাটি আদালতে বিচারাধীন কিন্তু কট্টরপন্থীরা বিতর্কিত স্থানে আজান পড়েছে। প্রতিবাদ তো ছিলই, এখন পাকিস্তানের মোল্লা মৌলভী এখন খুন করে হত্যা ও মাথা কেটে কুকুরের সামনে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

প্রখ্যাত সমালোচক তারেক ফাতাহ এ প্রসঙ্গে তার টুইটার হ্যান্ডেল একটি টুইট শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে এক মাওলানা লোককে মন্দিরটি তৈরি হলে শিরচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছে। মৌলবাদীদের বিরোধিতার সামনে ইমরান সরকার কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

তারেক যে ভিডিওটিতে টুইট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে যে মাওলানা একটি ধর্মীয় সমাবেশে হুমকি দিচ্ছে যে যারা ইসলামাবাদে হিন্দু মন্দিরকে সমর্থন করছে তাদের শিরচ্ছেদ করা হবে। সে জনতার ভীরে বলছে, "তোমার মাথা মন্দিরে উৎসর্গ করা হবে এবং কুকুরকে খাওয়ানো হবে।" সে বলছে, "মসজিদগুলি চাঁদা তুলে নির্মিত হয় এবং মন্দির পাকিস্তানের কোষাগার থেকে অর্থ নিয়ে নির্মিত হচ্ছে।"

ইমরান সরকার দু'দিন আগে মুসলিম মৌলবাদীদের ফতোয়ার সামনে মাথা নত করে মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। এই মন্দিরটির নির্মাণ পাকিস্তানের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি করছে। পাকিস্তান সরকার এখন মন্দির সম্পর্কিত পরামর্শ ইসলামিক আইডোলজি কাউন্সিলের থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া প্রতিষ্ঠান জামিয়া আশুরফিয়া মুফতি জিয়াউদ্দিন বলেছে যে অমুসলিমদের মন্দির বা অন্যান্য ধর্মীয় স্থান নির্মাণে সরকারী অর্থ ব্যয় করা যায় না শ্রীকৃষ্ণের এই মন্দিরটি ইসলামাবাদের H -9 অঞ্চলে ২০ হাজার বর্গফুট জায়গাতে নির্মিত হচ্ছিল।

এই মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন পাকিস্তানের মানবাধিকারের সংসদীয় সচিব লাল চন্দ্র মালহী। এ সময় উপস্থিত লোকদের উদ্দেশে মালহী বলেছিলেন যে ১৯৪৭ সালের আগে ইসলামাবাদ ও আশেপাশের অঞ্চলে অনেক হিন্দু মন্দির ছিল।
Photo credit - Times now 
এই মন্দিরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি আইনজীবীও আবেদন করেছিলেন, যার ভিত্তিতে আদালত বলেছে যে সংখ্যালঘুদের অধিকারের খেয়াল সরকারকে নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad