নয়াদিল্লি: নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির চীনের প্রতি ঝোঁক সুপরিচিত, তবে এই ঝোঁকের আসল কারণ এখন সামনে এসেছে। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে চীন নেপালে নিজের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য অলিকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছে।
গ্লোবাল ওয়াচ অ্যানালাইসিসের(Global Watch Analysis) এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চীন দরিদ্র দেশগুলির দুর্নীতিবাজ নেতাদের ব্যবহার করে সেই দেশে নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করে এবং নেপাল এর সবচেয়ে তাজা উদাহরণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সম্পত্তিও গত কয়েক বছরে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তিনি বিদেশেও সম্পত্তি কিনেছেন।
প্রতিবেদনের লেখক রোল্যান্ড জ্যাকার্ড(Roland Jacquard) দাবি করেছেন যে ওলি চীনের সহযোগিতা নিয়ে বাণিজ্য চুক্তিতে লাভ করেছে। ২০১৫-১৬ সালে তার প্রথম কার্যকালে অলি কম্বোডিয়ায় টেলিকম সেক্টরে বিনিয়োগ করেছিলেন।
নেপালে তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রদূত ভি চুন্তাই এই চুক্তিতে সহায়তা করেছিলেন এবং নেপালি ব্যবসায়ী এবং অলির ঘনিষ্ঠ অঙ্গ শেরিং শেরপা প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তদন্তে পরে জানা যায় যে, প্রধানমন্ত্রী অলির রাজনৈতিক উপদেষ্টা বিষ্ণু রিমালের ছেলে আর্থিক লাভের জন্য এই চুক্তি সম্পাদন করেছিল।
এর মধ্যে হংকংয়ের একটি চীনা কোম্পানির সাথে রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য নেপাল টেলিকমিউনিকেশনের চুক্তি এবং চীনের টেলিকম সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেডটিইর (ZTE)-র সাথে একটি ৪ জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই দুটি প্রকল্পই ১১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পাদন করা হবে।
গ্লোবাল ওয়াচ অ্যানালাইসিসের(Global Watch Analysis) এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চীন দরিদ্র দেশগুলির দুর্নীতিবাজ নেতাদের ব্যবহার করে সেই দেশে নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করে এবং নেপাল এর সবচেয়ে তাজা উদাহরণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সম্পত্তিও গত কয়েক বছরে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তিনি বিদেশেও সম্পত্তি কিনেছেন।
বার্ষিক এই পরিমাণ টাকা পান:
রিপোর্ট অনুযায়ী অলির সুইজারল্যান্ডের মীরাবড ব্যাংকের (Mirabaud bank) জেনেভা শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যাতে প্রায় ৪১.৩৪ কোটি টাকা জমা রয়েছে। অলি এবং তাঁর স্ত্রী রাধিকা শাক্য বছরে প্রায় ৫ লক্ষ ডলার পান।প্রতিবেদনের লেখক রোল্যান্ড জ্যাকার্ড(Roland Jacquard) দাবি করেছেন যে ওলি চীনের সহযোগিতা নিয়ে বাণিজ্য চুক্তিতে লাভ করেছে। ২০১৫-১৬ সালে তার প্রথম কার্যকালে অলি কম্বোডিয়ায় টেলিকম সেক্টরে বিনিয়োগ করেছিলেন।
নেপালে তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রদূত ভি চুন্তাই এই চুক্তিতে সহায়তা করেছিলেন এবং নেপালি ব্যবসায়ী এবং অলির ঘনিষ্ঠ অঙ্গ শেরিং শেরপা প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।
সরকারী নিয়মের উলঙ্ঘন:
শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় কার্যকালেও অলি চীনা কোম্পানি গুলিকে প্রকল্প দেওয়ার জন্য সরকারী নিয়ম গুলির উলঙ্ঘন করেছিলেন। ডিসেম্বর ২০১৮ সালে, ডিজিটাল অ্যাকশন রুম বানানোর জন্য কোন টেন্ডার ছাড়াই চীনা কোম্পানি Huawei কে ঠিকা দিয়েছিল, অন্যদিকে সরকারী মালিকানাধীন নেপাল টেলিকমও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।তদন্তে পরে জানা যায় যে, প্রধানমন্ত্রী অলির রাজনৈতিক উপদেষ্টা বিষ্ণু রিমালের ছেলে আর্থিক লাভের জন্য এই চুক্তি সম্পাদন করেছিল।
বিনা টেন্ডার ছাড়া ঠিকা দিয়েছিল:
গ্লোবাল ওয়াচ অ্যানালাইসিস(Global Watch Analysis) এর প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে ২০১৯ সালের মে মাসে চীনা সংস্থাগুলির সাথে কোনও টেন্ডার ছাড়াই দুটি চুক্তি হয়েছিল।এর মধ্যে হংকংয়ের একটি চীনা কোম্পানির সাথে রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য নেপাল টেলিকমিউনিকেশনের চুক্তি এবং চীনের টেলিকম সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেডটিইর (ZTE)-র সাথে একটি ৪ জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই দুটি প্রকল্পই ১১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পাদন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.