নয়া দিল্লি:১ আগস্টে ত্রিপল তালাক আইনটি এক বছর পূর্ণ হবে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে, গত এক বছরে 'ট্রিপল তালাক'-র ঘটনা ৮২ শতাংশেরও বেশি কমেছে এবং যেখানেই এ জাতীয় ঘটনা ঘটেছে আইন তার কাজ করেছে।
সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভী এক বিবৃতিতে এই আইনের পরে মুসলিম সমাজে পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেছেন।
নকভী বলেছিলেন, 'ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে ১ লা আগস্ট, ২০১৯ কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি, এসপি, বিএসপি, তৃণমূল কংগ্রেস সহ সমস্ত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার রাজনৈতিক বীর যোদ্ধাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও, ট্রিপল তালাকের কুপ্রথা অবসানের বিলটি আইনে পরিণত করা হয়েছিল।'
তখন লোকসভায় একা কংগ্রেস সদস্যের সংখ্যা ৫৪৫ এর মধ্যে ৪০০ এবং রাজ্যসভায় ২৪৫ এর মধ্যে ১৫৯ এরও বেশি ছিল, কিন্তু কংগ্রেসের রাজীব গান্ধী সরকার ৫ ই মে ১৯৮৬ সালে এই সংখ্যাবলের ব্যবহার মুসলিম মহিলাদের অধিকারকে পিষে মেরে ফেলতে এবং তিন তালাকের ক্রূরতা ও কুপ্রথাকে শক্তি দেওয়ার জন্য ও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে নিষ্প্রভ করার জন্য সংসদে সাংবিধানিক অধিকারের ব্যবহার করেছিল।
![]() |
Image credit - The Hindu Businessline |
১ লা আগস্ট তিন তালাক আইন ১ বছর পূর্ণ হবে:
তিনি বলেছিলেন, 'যদিও আগস্ট মাসটি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাতে পূর্ণ', ৮ ই আগস্ট 'ভারত ছাড়ো আন্দোলন', ১৫ ই আগস্ট ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস, ১৯ আগস্ট' বিশ্ব মানবতা দিবস', ২০ আগস্ট' সদ্ভাবনা দিবস', ৫ আগস্ট অনুচ্ছেদ ৩৭০ বন্ধ হওয়া ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত দিন, তবে ১ লা আগস্ট মুসলমান মহিলাদের ট্রিপল তালকের কুপ্রথা, কুরীতি এবং কুফল থেকে মুক্ত করার দিন, যা ভারতের ইতিহাসে 'মুসলিম মহিলা অধিকার দিবস' হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে।ট্রিপল তালাক আইন নিয়ে অনেক দলই অসহমত ছিল:
তিনি বলেছেন যে , 'তিন তালাক যা সাংবিধানিকভাবে সঠিক ছিল না বা ইসলামের আদেশ অনুসারে ন্যায়সঙ্গতও ছিল না। তবুও আমাদের দেশে, মুসলিম মহিলাদের নিপীড়নে পরিপূর্ণ ট্রিপল তালাকের অবৈধ, অসাংবিধানিক, অ-ইসলামিক তিন তালাক ভোট ব্যঙ্ক ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংরক্ষণে বিকাশ লাভ করেছে'।নকভী বলেছিলেন, 'ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে ১ লা আগস্ট, ২০১৯ কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি, এসপি, বিএসপি, তৃণমূল কংগ্রেস সহ সমস্ত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার রাজনৈতিক বীর যোদ্ধাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও, ট্রিপল তালাকের কুপ্রথা অবসানের বিলটি আইনে পরিণত করা হয়েছিল।'
নকভি কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করেছিলেন:
নকভি বলেছিলেন, ' তিন তালাক কুপ্রথার বিরুদ্ধে আইন তো ১৯৮৬ সালেও হতে পারতো, যখন শাহবানু কেসে সুপ্রিম কোর্ট বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল '।তখন লোকসভায় একা কংগ্রেস সদস্যের সংখ্যা ৫৪৫ এর মধ্যে ৪০০ এবং রাজ্যসভায় ২৪৫ এর মধ্যে ১৫৯ এরও বেশি ছিল, কিন্তু কংগ্রেসের রাজীব গান্ধী সরকার ৫ ই মে ১৯৮৬ সালে এই সংখ্যাবলের ব্যবহার মুসলিম মহিলাদের অধিকারকে পিষে মেরে ফেলতে এবং তিন তালাকের ক্রূরতা ও কুপ্রথাকে শক্তি দেওয়ার জন্য ও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে নিষ্প্রভ করার জন্য সংসদে সাংবিধানিক অধিকারের ব্যবহার করেছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.