নতুন দিল্লি: ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনবহুল দেশ যে দেশের মুদ্রায় (Currency) ভগবান গণেশের ফটো ছাপানো হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের সংস্কৃতিতে অনেক মিল রয়েছে। এখানে আসার পরে আপনারও মনে একবার ভুল ধারণা হতে পারে যে আপনি ভারতেই আসেননি তো। এখানে অনেক হিন্দু দেব-দেবীর পূজা হয়।
মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মাঝে কয়েক হাজার দ্বীপে ছড়িয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়াতে মুসলমানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তবে এখানে হিন্দু ধর্মের অনেকাংশে প্রভাব দেখা যায়।
এদেশে ভগবান গণেশকে শিল্প ও বুদ্ধিমত্তার ঈশ্বর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণেই, এখানে মুদ্রায় ভগবান গণেশের চিত্র অঙ্কিত হত।
কয়েক বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, যার পরে সেখানকার অর্থনীতিবিদরা বিচার বিবেচনা করার পরে বিশ হাজার টাকার নতুন নোট জারি করেছিলেন, যার উপরে ভগবান গণেশের ছবি ছাপা হয়েছিল।
১৯৯৮ সালের পরে ইন্দোনেশিয়া বিশ হাজার টাকার নতুন নোট জারি করেছিল। ১৯৯৮ সালের পরে জারি করা নতুন নোট থেকে ভগবান গণেশের ছবি সরানো হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় মুদ্রা থেকে সাধারণ জনজীবনে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেখা যায়। রামায়ণ এবং রামায়ণ মঞ্চ (Staging) এখানকার সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংস্কৃতিতে রামায়ণ-মহাভারতের অস্তিত্ব অবাক করার মতো হলেও ইন্দোনে-শিয়া হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পর্কিত তার সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
পুরো ইন্দোনেশিয়া জুড়ে রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প সবার জানা। সেখানকার জাকার্তা স্কোয়ারে কৃষ্ণ-অর্জুনের মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে।
এখানে মুসলমান রমজানে রোজা রাখে এবং ইফতারের পরে সেখানকার হিন্দু মন্দিরে রামায়ণ মঞ্চে অংশ নিতে যায়। এখানে হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রয়েছে।
জাভা ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রধান দ্বীপ যেখানে জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ হিন্দু। ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত এখানে 'মাজাপাহিত' নামে হিন্দু সাম্রাজ্য সমৃদ্ধ হয়েছিল, যার সংস্কৃতি, ভাষা এবং ভূমিতে হিন্দু সংস্কৃতির ছাপ পড়ে গিয়েছিল।
এই দেশে যেখানে সেখানে ভগবান বিষ্ণু এবং শিবের মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। সংস্কৃত শব্দ, রামায়ণ এবং মহাভারতের উল্লেখ রয়েছে পুরো শহর জুড়ে। তবে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দুদের জনসংখ্যা ২% এরও কম হয়ে গেছে।
শুধু ধর্মই নয়, ইন্দোনেশিয়ার ভাষার সাথে আমাদের ভাষার খুব মিল রয়েছে। তাদের ভাষাকে বলা হয় 'বাহাসা ইন্দোনেশিয়া'। উদাহরণস্বরূপ, তাদের শব্দ কোষেও 'স্ত্রী' এবং ও 'মন্ত্রী'-র মতো শব্দও পাওয়া যায়।
ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের আগমন কীভাবে হয়েছিল তা পুরোপুরি পরিষ্কার নয় তবে ৫ ম শতাব্দীর মধ্যে এখানে হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হিন্দু সাম্রাজ্যের প্রভাব বাড়ার সাথে সাথে দ্বাদশ - ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে হিন্দু ও বৌদ্ধ শাসকরা অনেক দ্বীপ অধিকার করে নিয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া আধিকারিক রূপে ৬ টি ধর্মকে স্বীকৃতি দেয় যার মধ্যে হিন্দু ধর্ম ১৯৬২ সালে স্থান পেয়েছিল। জাভা, বালি এবং লম্বোকে হিন্দু ধর্মের যথেষ্ট অনুগামী রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের প্রভাবের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মেরও প্রভাব রয়েছে। এটি এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায় যে "বোরোবদুরের রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বৌদ্ধ স্তূপ।"
ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের সংস্কৃতিতে অনেক মিল রয়েছে। এখানে আসার পরে আপনারও মনে একবার ভুল ধারণা হতে পারে যে আপনি ভারতেই আসেননি তো। এখানে অনেক হিন্দু দেব-দেবীর পূজা হয়।
মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মাঝে কয়েক হাজার দ্বীপে ছড়িয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়াতে মুসলমানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তবে এখানে হিন্দু ধর্মের অনেকাংশে প্রভাব দেখা যায়।
এদেশে ভগবান গণেশকে শিল্প ও বুদ্ধিমত্তার ঈশ্বর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণেই, এখানে মুদ্রায় ভগবান গণেশের চিত্র অঙ্কিত হত।
কয়েক বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, যার পরে সেখানকার অর্থনীতিবিদরা বিচার বিবেচনা করার পরে বিশ হাজার টাকার নতুন নোট জারি করেছিলেন, যার উপরে ভগবান গণেশের ছবি ছাপা হয়েছিল।
১৯৯৮ সালের পরে ইন্দোনেশিয়া বিশ হাজার টাকার নতুন নোট জারি করেছিল। ১৯৯৮ সালের পরে জারি করা নতুন নোট থেকে ভগবান গণেশের ছবি সরানো হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় মুদ্রা থেকে সাধারণ জনজীবনে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেখা যায়। রামায়ণ এবং রামায়ণ মঞ্চ (Staging) এখানকার সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংস্কৃতিতে রামায়ণ-মহাভারতের অস্তিত্ব অবাক করার মতো হলেও ইন্দোনে-শিয়া হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পর্কিত তার সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
পুরো ইন্দোনেশিয়া জুড়ে রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প সবার জানা। সেখানকার জাকার্তা স্কোয়ারে কৃষ্ণ-অর্জুনের মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে।
এখানে মুসলমান রমজানে রোজা রাখে এবং ইফতারের পরে সেখানকার হিন্দু মন্দিরে রামায়ণ মঞ্চে অংশ নিতে যায়। এখানে হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রয়েছে।
জাভা ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রধান দ্বীপ যেখানে জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ হিন্দু। ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত এখানে 'মাজাপাহিত' নামে হিন্দু সাম্রাজ্য সমৃদ্ধ হয়েছিল, যার সংস্কৃতি, ভাষা এবং ভূমিতে হিন্দু সংস্কৃতির ছাপ পড়ে গিয়েছিল।
এই দেশে যেখানে সেখানে ভগবান বিষ্ণু এবং শিবের মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। সংস্কৃত শব্দ, রামায়ণ এবং মহাভারতের উল্লেখ রয়েছে পুরো শহর জুড়ে। তবে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দুদের জনসংখ্যা ২% এরও কম হয়ে গেছে।
শুধু ধর্মই নয়, ইন্দোনেশিয়ার ভাষার সাথে আমাদের ভাষার খুব মিল রয়েছে। তাদের ভাষাকে বলা হয় 'বাহাসা ইন্দোনেশিয়া'। উদাহরণস্বরূপ, তাদের শব্দ কোষেও 'স্ত্রী' এবং ও 'মন্ত্রী'-র মতো শব্দও পাওয়া যায়।
ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের আগমন কীভাবে হয়েছিল তা পুরোপুরি পরিষ্কার নয় তবে ৫ ম শতাব্দীর মধ্যে এখানে হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হিন্দু সাম্রাজ্যের প্রভাব বাড়ার সাথে সাথে দ্বাদশ - ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে হিন্দু ও বৌদ্ধ শাসকরা অনেক দ্বীপ অধিকার করে নিয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া আধিকারিক রূপে ৬ টি ধর্মকে স্বীকৃতি দেয় যার মধ্যে হিন্দু ধর্ম ১৯৬২ সালে স্থান পেয়েছিল। জাভা, বালি এবং লম্বোকে হিন্দু ধর্মের যথেষ্ট অনুগামী রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের প্রভাবের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মেরও প্রভাব রয়েছে। এটি এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায় যে "বোরোবদুরের রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বৌদ্ধ স্তূপ।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.