নয়া দিল্লি : শনিবার রাজধানী দিল্লি থেকে সন্ত্রাসী মোস্তাকিম ওরফে আবু ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলায় পৌঁছায়।
দিল্লী পুলিশ উত্রুলা থানা এলাকার বাধায়া ভৈনসাহী গ্রামে ইউসুফের বাসা থেকে তল্লাশির সময় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, মানব বোমার দুটি জ্যাকেট, বেশ কয়েকটি ধর্মীয় সাহিত্য, আইএসআইএস পতাকা এবং অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিস উদ্ধার করেছে।
ইউসুফের স্ত্রী বিষয়টি জানতো। ইউসুফ তাকে কাউকে এই কথাটা বলতে নিষেধ করেছিল। আবু ইউসুফকে রাজধানীতে 'লোন ওল্ফ অ্যাটাক' করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য সে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
এ জাতীয় ঘটনার পরে সন্ত্রাসবাদী সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট ক্লু (Clue) পাওয়া যায় না। এর আগে প্যারিসে সন্ত্রাসীরা এ জাতীয় অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইউসুফ আইইডি(IED) বানানোর পরে সেটা ১৫ আগস্টের আগে দিল্লি পৌঁছে ব্লাস্ট করতে চেয়েছিল, তবে কঠোর সুরক্ষার কারণে তিনি আসতে পারেনি। আইইডি (IED) ব্লাস্টের পরে সে রাজধানীতেই একটি আত্মঘাতী হামলা চালাতো।
আবু ইউসুফ স্বীকার করেছে যে সে আত্মবিশ্বাসী ছিল যে স্বাধীনতা দিবসের পর দিল্লির সুরক্ষা ব্যবস্থা কম হয়ে যাবে। সুতরাং সে সহজেই বিস্ফোরণ ঘটাতে পারবে, কিন্তু এর মধ্যেই সে ধরা পড়ে গেল।
গত ২০১৫-১৬ সালে ইসলামিক স্টেটের এজেন্টরা পশ্চিমী দেশ গুলিতে এ জাতীয় অনেক হামলা করেছিল। এই ধরনের হামলায় সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য হল তারা একাই নিজের ক্ষমতায় যত বেশি সম্ভব লোকের রক্ত ঝরানো। এই ধরনের হামলায় ছোট অস্ত্র, চাকু, পিস্তল এবং কখনও কখনও হাতে তৈরি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়।
ইউসুফ নিজেই বারুদ জমা করতো এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখে বোমা তৈরি করা শিখতো। সে বাড়িতে বসেই বোমা বানিয়েছিল। তাঁর মালিক তাকে লিঙ্ক পাঠাতো।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এই পর্যন্ত লোন ওল্ফ অ্যাটাকে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। এ জাতীয় আক্রমণ চালানোর পরে বেশিরভাগ আতঙ্কী নিজেই নিজের জীবন দিয়ে দেয় বা এনকাউন্টারে মারা যায়।
২১ আগস্টের রাতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এনকাউন্টার পরে সন্ত্রাসী আবু ইউসুফ ওরফে মুস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে স্বীকার করে যে সে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁর লক্ষ্যে অযোধ্যার রাম মন্দিরও ছিল। বহু আতঙ্কবাদী সংগঠন রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ।
দিল্লী পুলিশ উত্রুলা থানা এলাকার বাধায়া ভৈনসাহী গ্রামে ইউসুফের বাসা থেকে তল্লাশির সময় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, মানব বোমার দুটি জ্যাকেট, বেশ কয়েকটি ধর্মীয় সাহিত্য, আইএসআইএস পতাকা এবং অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিস উদ্ধার করেছে।
ইউসুফের স্ত্রী বিষয়টি জানতো। ইউসুফ তাকে কাউকে এই কথাটা বলতে নিষেধ করেছিল। আবু ইউসুফকে রাজধানীতে 'লোন ওল্ফ অ্যাটাক' করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য সে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
লোন উলফ অ্যাটাক কি?
"লোন উলফ অ্যাটাক"(Lone wolf attack) করার জন্য বেছে নেওয়া সন্ত্রাসীকে তার মালিকের নির্দেশে নিজেকেই পরিকল্পনা করতে হয়। এ জন্য সে কোথাও থেকে কোনও সাহায্য পায় না। নিজেকেই বিস্ফোটক সামগ্রী জোগাড় করতে হয়।
এ জাতীয় ঘটনার পরে সন্ত্রাসবাদী সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট ক্লু (Clue) পাওয়া যায় না। এর আগে প্যারিসে সন্ত্রাসীরা এ জাতীয় অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইউসুফ আইইডি(IED) বানানোর পরে সেটা ১৫ আগস্টের আগে দিল্লি পৌঁছে ব্লাস্ট করতে চেয়েছিল, তবে কঠোর সুরক্ষার কারণে তিনি আসতে পারেনি। আইইডি (IED) ব্লাস্টের পরে সে রাজধানীতেই একটি আত্মঘাতী হামলা চালাতো।
আবু ইউসুফ স্বীকার করেছে যে সে আত্মবিশ্বাসী ছিল যে স্বাধীনতা দিবসের পর দিল্লির সুরক্ষা ব্যবস্থা কম হয়ে যাবে। সুতরাং সে সহজেই বিস্ফোরণ ঘটাতে পারবে, কিন্তু এর মধ্যেই সে ধরা পড়ে গেল।
পরিকল্পিত আক্রমণের চেয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনক "লোন উলফ অ্যাটাক":
"লোন উলফ অ্যাটাক" সন্ত্রাস ছড়ানোর এক নতুন কৌশল, যা আতঙ্কী সংগঠনগুলি খুব দ্রুত গ্রহণ করছে। গত ছয়-সাত বছরে এ ধরনের হামলার সংখ্যা বেড়েছে। এই হামলা যে কোনও পরিকল্পিত হামলার চেয়ে বিপজ্জনক।
গত ২০১৫-১৬ সালে ইসলামিক স্টেটের এজেন্টরা পশ্চিমী দেশ গুলিতে এ জাতীয় অনেক হামলা করেছিল। এই ধরনের হামলায় সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য হল তারা একাই নিজের ক্ষমতায় যত বেশি সম্ভব লোকের রক্ত ঝরানো। এই ধরনের হামলায় ছোট অস্ত্র, চাকু, পিস্তল এবং কখনও কখনও হাতে তৈরি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়।
ইউটিউবে(You Tube) ভিডিও দেখে বোমা বানাতো :
ইউসুফ নিজেই বারুদ জমা করতো এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখে বোমা তৈরি করা শিখতো। সে বাড়িতে বসেই বোমা বানিয়েছিল। তাঁর মালিক তাকে লিঙ্ক পাঠাতো।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এই পর্যন্ত লোন ওল্ফ অ্যাটাকে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। এ জাতীয় আক্রমণ চালানোর পরে বেশিরভাগ আতঙ্কী নিজেই নিজের জীবন দিয়ে দেয় বা এনকাউন্টারে মারা যায়।
২১ আগস্টের রাতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এনকাউন্টার পরে সন্ত্রাসী আবু ইউসুফ ওরফে মুস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে স্বীকার করে যে সে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁর লক্ষ্যে অযোধ্যার রাম মন্দিরও ছিল। বহু আতঙ্কবাদী সংগঠন রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.