নয়ডা: ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি গত কয়েকদিন ধরেই বিবাদের মধ্যে রয়েছে। এই সময়, ইউপির সিএম যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশে দেশের সবচেয়ে বড় ও সুন্দর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বানানোর ঘোষণা করেছেন।
চলচ্চিত্র জগতের সাথে যুক্ত লোকেরা এটিকে উত্তর ভারতের জন্য একটি বড় উপহার হিসাবে মনে করছেন। অনেকের মতে ইউপিতে ফিল্ম সিটি গঠন হলে রাজ্য সহ পুরো উত্তর ভারতে নতুন শিল্পীদের বৈষম্যের শিকার হতে হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের কর্ম পরিকল্পনা তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন:
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সিএম যোগী শুক্রবার একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেরঠ বিভাগের উন্নয়ন মূলক কাজের তথ্য নিচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি বলেন দেশের সবচেয়ে বড় ও সুন্দর ফিল্ম সিটি উত্তর প্রদেশে বানানো হবে।এই জন্য মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, এই ফিল্ম সিটি নয়ডা বা গ্রেটার নয়ডায় বানানো যেতে পারে।
নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের স্থানকে উপযুক্ত বলেছেন:
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে একটি ভাল ফিল্ম সিটির প্রয়োজন। উত্তরপ্রদেশ এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। আমরা একটি দুর্দান্ত ফিল্ম সিটি তৈরি করব।" তিনি নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের অঞ্চল ফিল্ম সিটির পক্ষে আরও ভাল বলে বর্ণনা করেছেন।চলচ্চিত্র নির্মাতা-পরিচালকদের জন্যও এটি উপযুক্ত। ফিল্ম নির্মাতা ও পরিচালকদের শুটিংয়ের জন্য রাজ- স্থানের ঐতিহাসিক ভবন, উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের সবুজে ভরা ক্ষেত্র সহজেই আকৃষ্ট করে। আগ্রার তাজমহল এবং আশেপাশের অঞ্চলও তাদের আকর্ষণ করে।
কর্মসংস্থান তৈরিরও একটি মাধ্যম:
সিএম যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন এই ফিল্ম সিটি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আরও ভাল বিকল্প উপলব্ধ করাবে। এর সাথে তিনি এটিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি মাধ্যম হিসাবেও বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে কর্মসংস্থান দেওয়ার ক্ষেত্রেও এটি খুব কার্যকর প্রচেষ্টা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জমিটির বিকল্প নিয়ে শিগগিরই এ নিয়ে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।সম্প্রতি উত্তর ভারতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বানানোর দাবী বেড়েছে :
লক্ষণীয় বিষয় হল যে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে উত্তর ভারতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বানানোর দাবি বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে অনেক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একই সঙ্গে চলচ্চিত্র জগতের সাথে যুক্ত উত্তর ভারতের অনেক লোকও এই দাবি তীব্র করে তুলছেন।সম্প্রতি, সংসদে ভোজপুরি জগতের অভিনেতা গোরক্ষপুরের সাংসদ রবি কিশান এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা জয়া বচ্চনের মধ্যে তর্ক এই ইস্যুটিকে আরোও জোরালো করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.