নয়া দিল্লি: চলতি বছরের ২৯ জুলাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট রাফালের প্রথম ব্যাচ ভারতে আসে। তারপর LAC থেকে LOC জুড়ে টহল দেওয়া শুরু করে। হিমালয়ের উপর রাফালের হুঙ্কারে দুই শত্রু চীন ও পাকিস্তান উভয় দেশেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এখন রাফালের যে নতুন ব্যাচ ভারতে আসতে চলেছে, তাতে ভারত নিজস্ব পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছে, যার কারণে বিমান অল্প তাপমাত্রায় সহজেই চালু হতে পারবে।
ভারতে পৌঁছানো পাঁচটি রাফাল বিমানের ২৫০ ঘণ্টারও বেশি ফ্লাইট ও ফিল্ড ফায়ারিং টেস্ট করা হয়েছে, যাতে যুদ্ধের সময়, রাফাল LAC এবং LOC এর আবহাওয়া এবং মেজাজ সম্পর্কে অবগত থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাকি আগত বিমানগুলিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।
রাফালকে নিয়ে ফ্রান্স থেকে নতুন সুখবর এসেছে। ফ্রান্স রাফালের দ্বিতীয় ব্যাচ ভারতে হস্তান্তর করেছে। এই চালানে পাঁচটি বিমান ফ্রান্সে উপস্থিত রয়েছে এবং সেগুলি আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে ভারতে আসবে।
এই বিমানটিকে পশ্চিমবঙ্গের কালাইকুন্ড এয়ারফোর্স স্টেশনে মোতায়েন করা হবে, যা চীনের পূর্ব সীমান্ত রক্ষা করবে। একিইভাবে, ২০২২ সালের মধ্যে ভারত মোট ৩৬ টি রাফাল জেট পাবে।
অন্যদিকে, চীন রাফালের মোকাবিলায় চেঙ্গদু J -20 এবং পাকিস্তান JF -17 উন্নত বলে বর্ণনা করেছে, তবে সত্য যে রাফালের চেয়ে দু'জনই ধারেকাছে নেই।
এখন রাফালের সাথে চীনের সুপার হাতিয়ার J-20 এর সাথে তুলনা করা যাক। রাফালের টপ স্পিড প্রতি ঘন্টায় ২২২২ কিলোমিটার, যেখানে চীনা ফাইটার প্লেন J-20 এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ২১০০ কিলোমিটার। এগুলি ছাড়াও রাফালের রেঞ্চ ৩৭০০ কিমি, যেখানে J-20 এর রেঞ্চ ৩৪০০ কিমি। চীনা যুদ্ধ বিমান J -20 এর চেয়ে রাফাল ওজনে হালকা। রাফালের ওজন ২৪,৫০০ কেজি এবং J-20 এর ওজন ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার কেজি পর্যন্ত।
এগুলি ছাড়াও রাফাল চার ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত, ৭০ থেকে ৩০০ কিমি পর্যন্ত নিখুঁত আক্রমণ করতে পারে এবং যে কোনও ধরণের বাঙ্কার বা শক্ত পৃষ্ঠকে তাৎক্ষণিক ধ্বংশ করার ক্ষমতা রাখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.