নয়াদিল্লি: যে চীনকে পাকিস্তান তার সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ ভাবে সেই চীনই পাকিস্তানের মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে ব্যবসা করছে। চীনের বাজারে পাকিস্তানের জনগণের কিডনি ও লিভার প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
আসলে,পাকিস্তান আশা করেছিল যে চীন সরকার তাদের এই কাঙাল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। কিন্তু ড্রাগন তাদের এমন উপহার দিয়েছে যা পাকিস্তান সরকার স্বপ্নেও ভাবেনি।
চীন সাহায্যের পরিবর্তে পাকিস্তানের মানুষের কিডনি বের করা শুরু করে দিয়েছে। চীন পাকিস্তানিদের কিডনি বিক্রি করছে তাও আবার অল্প দামে।
এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে যে পাকিস্তানের মানুষকে প্রথমে ভুলিয়ে ভালিয়ে চীনে নিয়ে যাওয়া হয় তারপর সেখানে তাদের কিডনি বের করে নেওয়া হয়। এই পর্যন্ত বহু মানুষ এর শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের দরিদ্র অংশের লোকেদের চীন পৌঁছানোর সাথে সাথে কিডনি হারিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের অনেক পরিবার আজকাল এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের অনেকের কিডনি কবে হারিয়ে গেছে তারা নিজেরাই জানে না।
চীনের বহু সংখ্যক লোক কিডনি ও লিভারের সমস্যায় ভুগছে। করোনার সংক্রমণের কারণে এ জাতীয় রোগীর সংখ্যা আরও বেড়েছে। মারাত্মক রোগে আক্রান্ত এই রোগীদের কিডনি বা লিভারের প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন।
চীনে সাধারণত কিডনি ডোনেট খুঁজে পাওয়া কঠিন, এবং যদি তা পাওয়াও যায় তবে তার দাম অনেক হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে উপস্থিত মানব অঙ্গের পাচার কারীরা দরিদ্র মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে প্রথমে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের মানব অঙ্গের সাথে ডিল করে চীনে পাঠিয়ে দেয়।
চীন বাজারে মানব অঙ্গের তালিকা:
কিডনি - ৪ লক্ষ, লিভার - ৫ লক্ষ এবং চক্ষু - ২ লক্ষ টাকা।
পাকিস্তানের লাহোরে একটি মানব পাচারকারী দলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা লোককে চীন পাঠাতো এবং চীনা ডাক্তাররা কিছু টাকার জন্য তাদের কিডনি বের করে নিতো। মনে করা হচ্ছে যে পাকিস্তানের কয়েকশো মানুষ চীনে কিডনি বিক্রি করেছে।
এই দল গুলি পাকিস্তানের দরিদ্র জনগণকে তাদের প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করছে। এর জন্য একটি আন্তর্জাতিক র্যাকেট কাজ করে চলেছে।
এজেন্টরা প্রথমে পাকিস্তানের দরিদ্র মানুষকে অর্থের লোভ দেয়। তারপরে তাদের কিডনি এবং লিভারের ব্যবসা করে। এর পরে তাদের চীনের বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়। যেখানে র্যাকেটের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ডাক্তার তাদের সম্পর্কে থাকে। চীন পৌঁছানোর সাথে সাথে চিকিৎসকরা তাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেন। বিনিময়ে তাদের নামমাত্র পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
ভাবুন একদিকে চীন পাকিস্তানকে তার সেরা বন্ধু মানে এবং অন্যদিকে পাকিস্তানের মানুষের কিডনি পর্যন্ত চুরি করে নেয়। পাকিস্তান তাঁদের জনগণের সাথে এতো বড় ষড়যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও চুপ করে থাকা ছাড়া আর কী করতে পারে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.