কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আল-কায়দার নেটওয়ার্ক বিশাল আকার ধারণ করেছে।
NIA জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়দার হয়ে বাংলায় আরও অনেক লোক কাজ করছে। মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়দার ছয় জন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা NIA জানতে পেরেছে এই রাজ্যে সন্ত্রাস- বাদী সংগঠনের হয়ে আরও অনেক লোক কাজ করছে।
NIA- র এক আধিকারিক বলেছেন, শনিবার মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদে মালদার দুই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে যারা তাদের সাথে কাজ করেছে।
এই আধিকারিক বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা গুলির পাশাপাশি আল-কায়দার সদস্যরা অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে রয়েছে। বরং বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে মালদা জেলা থেকে দুজন লোকও অংশ নিয়েছিল। শুক্রবার সকালে তারা সেখান থেকে রওনা দেয়, শনিবার ছয় আতঙ্কবাদী গ্রেপ্তার হয়।
তিনি বলেন "দুজনই পলাতক এবং তাদের তল্লাশি শুরু হয়েছে।" NIA সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য থেকে গ্রেফতার হওয়া ছয় জনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী এবং কাশ্মীরের কিছু লোকের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন উভয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া কিছু সিম কার্ড, ল্যাপটপ এবং ফোন থেকে জানা যায় যে কাশ্মীরে 'অচেনা' লোকের সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল।
সূত্র জানিয়েছে, "দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ডোমকলের বসন্তপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতক এবং অন্যজন করিমপুর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারা দুজন যে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো তা থেকে কাশ্মীর কেরল এবং অন্যান্য রাজ্যের সাথে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানা গেছে।
NIA অফিসার জানিয়েছেন যে এই দুই শিক্ষার্থী অনেক সিম কার্ড ব্যবহার করতো। এই সিম কার্ড ব্যবহার করে অনেকগুলি হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট এবং ভিডিও কনফারেন্সিং করেছিল '' তিনি জানিয়েছেন যে এই সিম নাম্বার দিয়ে হোয়াটস অ্যাপে অনেকগুলি গ্রুপ তৈরি করেছিল। যোগাযোগের জন্য অনেক অ্যাপ ব্যবহার করা হত। দুজনেরই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আধিকারিক জানিয়েছেন, NIA টিম রবিবার রাতে গ্রেফ- তার হওয়া ছয় সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন আবু সুফিয়ানের মুর্শিদাবাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরিবারের সদস্য- দের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনি জানান, NIA টিম বাড়িটি থেকে ইলেকট্রিক সার্কিট এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে এবং দেখতে পায় যে সুফিয়ানের বাড়িতে একটি কংক্রিট বাঙ্কার তৈরি করা রয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, NIA শনিবার একসাথে কেরল এবং পশ্চিম- বঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান প্রযোজিত আল- কায়দা মডিউলের নয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে আবু সুফিয়ানের পরিবারের সদস্যরা বলেছে, যাকে বাঙ্কার বলা হচ্ছে আসলে তা একটি টয়লেট ট্যাঙ্কের জন্য নির্মিত একটি ট্যাঙ্ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.