নয়া দিল্লি: জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ আর কেরলার এর্নাকুলমের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে আল-কায়দার ৯ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লি এনসিআর এবং জনবহুল এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই আল-কায়দা সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে গিয়ে অস্ত্র সরবরাহের চেষ্টা করছিল। NIA এখনও তদন্ত করছে।
NIA কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়দার যে ৯ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে, NIA মতে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে এদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান-স্থিত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার আতঙ্কবাদী দ্বারা কট্টরপন্থী বানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের নাম মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোসারফ হুসেন। তিনজনই এর্নাকুলামের বাসিন্দা। অন্যদিকে নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মন্ডল, লিউ ইয়িন আহমেদ, আল মামুন কামাল এবং আতিতুর রহমান সকলেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার হওয়া সব জঙ্গিকে কেরল ও বাংলার আদালতে হাজির করা হবে।
অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং জেহাদি সাহিত্য পাওয়া গেছে :
এই গ্যাং অর্থ জোগাড় করছিল। গ্যাং এর কয়েকজন সদস্য অস্ত্র ও গোলা-বারুদ কিনতে দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে জিহাদি সাহিত্য, দেশীয় বন্দুক, ধারালো হাতিয়ার, লোকালে তৈরি হওয়া শরীরের কবচ (Body armor) বিস্ফোরক বানানোর আইটেম, ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের এই ঘৃণ্য পরিকল্পনার জন্য এই জঙ্গি মডিউল সক্রিয়ভাবে অর্থ যোগান দেওয়ার কাজ করত এবং অস্ত্রের জন্য দিল্লিতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল।জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ভারতকে সতর্ক করা হয়েছিল:
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দু মাস আগে জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। এতে সতর্ক করা হয়েছিল যে কেরল ও কর্ণাটকে বিপুল সংখ্যক আইএস(IS)জঙ্গি থাকতে পারে।রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছিল যে ভারতীয় উপ-মহাদেশে আল-কায়দা (AQIS) জঙ্গি সংগঠন হামলার ষড়যন্ত্র করছে।আল-কায়দার বর্তমান মাস্টারমাইন্ড হলেন ওসামা মাহমুদ, যে নিহত আসীম উমরের জায়গায় এসেছে। সে ওমরের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে এলাকায় প্রতিশোধ নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিল।
রিপোর্টে বলা হয়েছিল আল-কায়দার ২০০ জন জঙ্গি থাকতে পারে :
রিপোর্টে IS -এর একটি সাহায্যকারী দেশ জানিয়েছিল যে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দার ১৮০ থেকে ২০০ জন সন্ত্রাসবাদী সক্রিয় রয়েছে। তারা ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বাসিন্দা। ভারতীয় উপমহা-দেশে আল কায়দা IS - এর সহযোগী।IS ভারতে একটি নতুন প্রদেশ বানানোর দাবী করেছে :
আইএস, ১০ মে ২০১৯ এ তাদের নিজস্ব নিউজ এজেন্সি অমাকের মাধ্যমে বার্তা দিয়ে দাবী করেছিল যে তারা ভারতে একটি নতুন প্রদেশ 'বিলায়াহ অফ হিন্দ' প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এই দাবীটি কাশ্মীরে একটি এনকাউন্টারের পরে করা হয়েছিল।এই এনকাউন্টারে সোফি নামে এক জঙ্গি নিহত হয়েছিল, যে এই সংগঠনের সাথে জুড়ে ছিল। সে কাশ্মীরে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন আতঙ্কবাদী সংগঠনের সাথে কাজ করছিল। পরে সে আইএস (IS)- এ যোগ দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.