নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দানশীলতা কারও কাছে গোপন নেই। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে টানা তিনবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়েও তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এ পর্যন্ত সার্বজনিক কাজের জন্য ১০৩ কোটিও বেশি অনুদান দিয়েছেন। এই দানরাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী তার সঞ্চয় ও উপহার নিলাম (Auction) থেকে সংগ্রহ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী যে সংস্থা ও কর্মসূচীতে দান করেছেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে গার্ল চাইল্ড এডুকেশন (Girl Child Education) থেকে শুরু করে নমামি গঙ্গে (Namami Gange) প্রকল্প এবং সম্প্রতি করোনার যুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গঠিত হওয়া পি এম কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares Fund)।
প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই প্রথম অনুদান দিয়ে পি এম কেয়ার্স ফান্ড শুরু করেছিলেন। তিনি এতে ২.২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন, যা তিনি তার বেতন থেকে দিয়েছিলেন। এখনও অবধি পি এম কেয়ার্স ফান্ডে ৩,০৭৬ কোটি টাকা জমা পড়েছে।
কন্যা কেলাভানি ফান্ডকে ৮৯.৯৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রচুর উপহার পেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি যে উপহার পেয়েছিলেন তা নিলামে ৮৯.৯৬ কোটি টাকা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাটের মেয়েদের শিক্ষার জন্য এই পুরো অর্থ দান করেছিলেন। তিনি এই ৮৯.৯৬ কোটি টাকা কন্যা কেলাভানি ফান্ড (Kanya Kelavani Fund)- কে দান করে দেন যাতে শিশুদের পড়াশোনায় ব্যয় করা যায়।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করার আগে তিনি গুজরাটের সরকারী কর্মচারীর মেয়েদের পড়াশুনার জন্য তার ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে ২১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে সিউল শান্তি পুরষ্কার (Seoul peace Prize) হিসাবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন, এই অর্থ প্রধানমন্ত্রী নমামি গঙ্গে প্রোজেক্ট (Namami Gange Project)- এ দান করেছিলেন।
নমামি গঙ্গে প্রকল্পের জন্য ডোনেট :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে সিউল শান্তি পুরষ্কার (Seoul peace Prize) হিসাবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন, এই অর্থ প্রধানমন্ত্রী নমামি গঙ্গে প্রোজেক্ট (Namami Gange Project)- এ দান করেছিলেন।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রাপ্ত স্মৃতি চিহ্নের নিলামে ৩.৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই অর্থটিও তিনি নমামি গঙ্গে পরিকল্পনায় দিয়েছিলেন।
এর আগে, ২০১৫ সালে প্রাপ্ত উপহারের নিলাম সুরত শহরে হয়েছিল, যেখানে ৮.৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই অর্থ টিও প্রধানমন্ত্রী নমামি গঙ্গে মিশনের জন্য দিয়েছিলেন।
গত বছর তিনি যখন কুম্ভ মেলা পরিদর্শন করেছিলেন, তখন তিনি তার ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে সাফাই কর্মচারী- দের কল্যাণে তৈরি তহবিলে ২১ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.