নয়া দিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের অশ্লীল মন্তব্যকারী হীর খান ওরফে সানা খানের সহযোগী সইফ আনসারি কে পুলিশ কানপুরে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
হীর খানের ভিডিওকে সইফ- ই ' Black day 5 August ' ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতো। ইউটিউবার হীর খান এই ভিডিও তে মা সীতাদেবীকে 'Prostitude' শব্দের প্রযোগ করেছিল এবং অযোধ্যাকে 'Whorehouse' বলে অপমান করেছিল। কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠনের সাথে সইফের কানেকশনের বিষয়টিও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
প্রয়াগরাজ পুলিশ টুইট করে এই মামলার তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, "সোস্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় সম্প্রীতি খারাপ করা সম্পর্কিত উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার ও আপলোড করার জন্য মহিলা সানা ওরফে হীর খানের আসিক সইফ আনসারি কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ সুপার অভিষেক দীক্ষিতের নেতৃত্বে খুলনাবাদ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতারের পরে হীর খানের পাকিস্তানি কানেকশন সামনে এসেছে।
প্রয়াগরাজ পুলিশও এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এটি অনুসারে, "প্রয়াগরাজের বাসিন্দা সানা ওরফে হীর খান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের এর মাধ্যমে বিশেষ ধর্ম এবং সরকার সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছে।
এই ভিডিও গুলি আপলোড করায় ভারতের বিভিন্ন ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ এবং ঘৃনা ছড়ানোর মত জঘন্য কাজ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সইফ আনসারি হীর খানের সাথে উস্কানিমূলক ভিডিও সেন্ড করতো।"
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনসারীর বিরুদ্ধে প্রয়াগরাজের খুলনাবাদ থানায় আইপিসির বিভিন্ন ধারা এবং আইটি আইনের ৬৬ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় সানা খানকে ২৫ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সানা খানের ফোন ও কল রেকর্ডগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাতে এটা জানা যায় যে কোন্ কোন্ লোকের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। হীর খান ফেসবুক, টুইটার ছড়াও ইউটিউবের মাধ্যমে উস্কানিমূলক কনটেন্ট প্রকাশ করতো এবং হিন্দু দেবদেবীদেরও গালাগালি করতো।
হীর খানকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ সইফ আনসারী -র খোঁজ পায়। সইফ পুলিশ রিমান্ডে জানিয়েছে যে সে এর আগে গুজরাটের সুরত শহরে টেইলার্সের কাজ করতো। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হীর খানের সাথে বন্ধুত্ব হয়। লকডাউনে সে কানপুরে ফিরে এসেছিল।
এই সময়ে, সে হীর খানের সাথে ভিডিও বানাতো এবং সেগুলিকে ইউটিউবে আপলোড করে তার লিংক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লোকের কাছে পাঠিয়ে ভাইরাল করতো।
লক্ষণীয় বিষয়, হীর খানকে ২৫ আগস্ট প্রয়াগরাজ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। হীর খানকে তার ইউটিউব চ্যানেলে হিন্দু-বিরোধী ভিডিও পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২৮ বছর বয়সী এই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে ধারা ১৫৩A /৫০৫ IPC এবং ৬৬ IT আইনে মামলা করা হয়েছিল। এ ছাড়াও হীর খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও করা হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.