লখনৌ: হাতরাস মামলায় যোগী সরকারকে পাঠানো গোয়েন্দা তদন্ত রিপোর্টে চমকে দেওয়ার মত ষড়যন্ত্র সামনে এসেছে।
তদন্ত সংস্থা যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র খুঁজে পেয়েছে। হাতরাসের অজুহাতে যোগী সরকারকে বদনাম করার জন্য বড় ষড়যন্ত্র রচনা করার তথ্য সামনে এসেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার রবিবার (৪ অক্টোবর ২০২০) এই মামলায় IPC- র বিভিন্ন ধারায় FIR দায়ের করেছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর জন্যও ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই কাজে ফান্ডিং এর বিষয়টিও সামনে এসেছে। UP সরকারকে পাঠানো গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেহেতু পীড়িতা একজন দলিত, তাই হাতরাসের অজুহাতে উত্তরপ্রদেশে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা তৈরির চেষ্টা চলছে।
দাঙ্গা ছড়ানোর জন্য গুজব এবং ভুয়ো তথ্য অবলম্বন করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI), সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI) এবং সরকারের নিশানায় থাকা মাফিয়াদের জড়িত থাকার পোক্তা প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রাজ্য সরকার দাবি করেছে যে হাতরাশের ঘটনার পরে রাজ্যে হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য জাতিগতভাবে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা। এর মধ্যে একটি হল জাস্টিস ফর হাতরাস (Justice for Hathrash) নামে একটি ওয়েবসাইট, যা সরকারের প্রথম টার্গেটে এসেছে।
সরকার যখন এ সম্পর্কে জানতে পারে তখন বেশ কিছু ওয়েবসাইট রাতারাতি বন্ধ হয় যায়। তবে সুরক্ষা এজেন্সির কাছে এই সমস্ত ওয়েবসাইটের কনটেন্ট উপলব্ধ আছে।
রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে বড় আকারের ফান্ডিং এর কথাও সামনে এসেছে। এই রিপোর্টে যোগী সরকারকে বদনাম করার জন্য ১০০ কোটি টাকা ফান্ডিং এর কথাও প্রকাশিত হয়েছে।
গণধর্ষণের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত গুজব উত্থাপন করে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। একই সাথে, প্রচুর ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট গুলির বিশদ তথ্য জোগাড়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
বলা হয়েছে যে হাতরাস ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে CAA নিয়ে উপদ্রবে জড়িত সংগঠনের ভূমিকা সম্পর্কেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুর্বৃত্তদের পোস্টার লাগানো, দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার এবং ঘর সংযুক্তি সংশোধন করানো সিএম যোগীর পদক্ষেপে সমস্যায় পড়ে যাওয়া লোকেরা বড় ষড়যন্ত্র রচনা করে।
এর সাথে সাথে হাতরাসের পীড়িত পরিবারকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্রও উন্মোচিত হয়েছে যার প্রমাণ হিসাবে পুলিশ বহু অডিও টেপ উদ্ধার করেছে।
তদন্তকারী সংস্থাগুলি অডিও টেপের বিষয়টি বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে। অডিও টেপে কয়েকটি রাজ- নৈতিক দলের পাশাপাশি কিছু সাংবাদিকের কণ্ঠস্বর রয়েছে। এই অডিও টেপে পীড়িত পরিবারকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লোভ দেখানো হয়েছিল।
অডিও টেপগুলি থেকে জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে পীড়িত পরিবারের কথোপকথনের পরপরই এক মহিলা সাংবাদিক তাদের উস্কানি দেয়। তিনি বলেন যদি সিএমের কথা মেনে নেয় তবে পুলিশ তাদেরই দোষী প্রমাণ করবে। এই কথোপকথনের পরে পরিবার আতঙ্কে থাকে।
অডিও টেপের ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার সাথে সাথে তদন্তকারী সংস্থাগুলি উস্কানি দাতাদের পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্ট নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। পীড়িতার পরিবার নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট এবং CBI তদন্ত না চাওয়ায় রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরোপিত পক্ষ সব ধরণের তদন্তের জন্য প্রস্তুত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.