মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর ওপর ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুম্বাই পুলিশ এক মহিলার অভিযোগ দায়েরের পরে তার প্রাক্তন স্ত্রী যোগিতা বালি এবং পুত্র মহাক্ষয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় একটি FIR নথিভুক্ত করেছে। বৃহস্পতি বার (১৫ অক্টোবর ২০২০) রাতে ওশিওয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
৩৮ বছর বয়সী ঐ পীড়িতা দুজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে। পীড়িতা বলেছে যে সে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মহাক্ষয় চক্রবর্তীর সাথে রিলেশনশিপে ছিল। পীড়িতার কথা অনুযায়ী, সে সময় মিমো তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সে তাকে বিয়ে করবে।
মহিলা আরও বলে যে সেই সময়ে সে একবার আন্ধেরি ওয়েস্ট স্থিত আদর্শ নগরে মহাক্ষয় এর ফ্ল্যাটে গিয়েছিল। এই ফ্ল্যাটটি ২০১৫ সালে কেনা হয়েছিল। অভিযোগ করা হয় যে সেই সময় মহাক্ষয় তাকে নেশাজাতীয় সফ্ট ড্রিঙ্ক পান করিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করিয়েছিল।
পীড়িতার অভিযোগ, ধর্ষণের পরে সে যখন গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তখন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষর চক্রবর্তী তাকে গর্ভপাত করিয়ে দিতে বলে এবং এর জন্য পিলসও দিয়েছিল।
পীড়িতা বলেছে যে সে সর্বদা মহাক্ষয়কে তার বিয়ের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে স্মরণ করিয়েছিল কিন্তু জানুয়ারী ২০১৮ সালে সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে সে পীড়িতার সাথে বিয়ে করতে পারবে না। এর পরে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
তারপরে পীড়িতা তার পরিবারের বন্ধুর কাছে থাকতে দিল্লি চলে যায়। সেখানে জুন ২০১৮ সালে, মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে বেগমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ IPC- র ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ধারা -৩১৩ (মহিলার সম্মতি ছাড়াই গর্ভপাত করানো) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করে একে অপরাধ শাখায়(Crime Branch) স্থানান্তর করে। পরে, উভয় আসামীই দিল্লির একটি আদালত থেকে আগাম জামিন পায়।
২০২০ সালের মার্চ মাসে, দিল্লি হাইকোর্ট পীড়িতাকে যে থানার অধীনে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে অভিযোগ করতে বলে। সেই সূত্রে মহিলা ২০২০ সালে জুলাই মাসে মুম্বাইয়ে FIR দায়ের করে। এর সাথে IPC-র ৩৭৬(২) (n) (বার বার ধর্ষণ), ধারা - ৩২৮ (বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত করা), ধারা -৪১৭ (প্রতারণা) এবং ধারা -৫০৬ (ফৌজদারি ভয় দেখানো) এর মতো মামলা যুক্ত করা হয়েছে। মহাক্ষয় 'হান্টেড 3D' এবং 'লুট' এর মতো ছবিতে কাজ করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.