কেন নিজের চেষ্টায় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ভগবানকে উপলব্ধি করা যায় না? - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০

কেন নিজের চেষ্টায় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ভগবানকে উপলব্ধি করা যায় না?

কেন নিজের চেষ্টায় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ভগবানকে উপলব্ধি করা যায় না?

Why cannot God be realized by gaining knowledge by ones effort.

ব্রহ্মা বললেন- "যদি কেউ জ্ঞানলাভের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে আপনাকে জানার চেষ্টা করেন তাহলে তিনি কখনোই আপনার ব্যক্তিত্ব এবং নিত্য স্বরূপ বুঝতে পারবেন না। আপনার স্হিতি সর্বদাই জড় সৃষ্টির অতীত কিন্তু অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের দ্বারা আপনাকে জানার প্রয়াস হচ্ছে ভৌতিক, কারণ সেই জ্ঞান অর্জনের উপায় এবং উদ্দেশ্যও ভৌতিক।" ভাগবত: ৪/৭/৩১।

তাৎপর্যঃ ভগবানের দিব্যনাম গুন লীলা উপকরণ ইত্যাদি জড় ইন্দ্রিয়ের দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না। মহান নির্বিশেষ -বাদী শঙ্করাচার্যও স্বীকার করেছেন- নারায়ণঃ পরোহব্যক্তাদ্ অণ্ডম্ অব্যক্ত-সম্ভবম্। অব্যক্ত, অর্থাৎ আদি উপাদান কারণ হচ্ছে সৃষ্টি রদে এবং তা হচ্ছে জড়জগতের কারণ।

যেহেতু পরমেশ্বর ভগবান নারায়ন জড়জগতের অতীত তাই কোন রকম জড়জাগতিক উপায়ে তাঁর সম্বন্ধে কেউ জল্পনা কল্পনা করতে পারে না। শুধুমাত্র পরমেশ্বর ভগবানকে কৃষ্ণভক্তির চিন্তাধারায় হৃদয়ঙ্গম করতে হয়। " ভক্ত্যা মাম্ অভিজানাতি কেবল- মাত্র আমার ভক্তই আমাকে জানতে পারেন। ১৮/৫৫ গীতা।"

নির্বিশেষবাদী ও সবিশেষবাদীদের মধ্যে পার্থক্যঃ


নির্বিশেষবাদীরা পরমেশ্বর ভগবানকে তাদের সীমিত জল্পনা-কল্পনার দ্বারা সমীপবর্তী হতে পারে না, কিন্তু সবিশেষবাদী ভগবদ্ভক্তরা পরমেশ্বর ভগবানের প্রেমময়ী সেবার মাধ্যমে ভগবানের সন্তুষ্টি বিধান করেন। "সেবোন্মুখে হি" - ভক্তের সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান তার কাছে নিজেকে প্রকাশ করেন। সেবোন্মুখে হি জিহ্বাদৌ - অর্থাৎ ভগবানের সেবা শুরু হয় জিব্বা থেকে কীর্তন এবং প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে।

ভগবদ্ গীতায় বলা হয়েছে মূঢ়রাই কেবল ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে একজন সাধারন মানুষ বলে মনে করে, তারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দিব্য স্থিতি অথবা তাঁর চিন্ময় শক্তি যে কি, সেই সম্বন্ধে অবগত নয়।"

২) পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ ভগবান তাঁর কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পর্বত ধারণ করেছিলেন সাত বছর বয়সে। নির্বিশেষবাদী- রা এই তথ্য বিশ্বাস করে না। কারণ তারা তাঁর অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না, তারা তাদের নিজেদের ব্যক্তিত্বের সাথে তুলনা করে পরমেশ্বর ভগবানের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে চর্চা করে।

যেহেতু এই জগতে কোন মানুষই একটি পর্বত উঠাতে পারে না, তারা মনে করে শ্রীমৎ ভাগবতের কাহিনী হচ্ছে রূপক এবং তারা তাদের নিজেদের অনুমানের ভিত্তিতে তার অর্থ নিরূপণ করার চেষ্টা করেন। তাই তারা বিশ্বাস করে না যে ভগবান তা করতে পারেন।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভগবান সমস্ত বৃন্দাবনবাসীদের সমক্ষে গোবর্ধন পর্বত উত্তোলন করেছিলেন যা ব্যাসদেব, নারদ প্রমুখ আচার্যরা প্রতিপন্ন করেছেন। তাৎপর্য: ৪/৭/৩২।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad