আল কায়দার নেটওয়ার্ক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে, আতঙ্কবাদীদের টার্গেটে রয়েছে বেশ কয়েকজন নেতা। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০

আল কায়দার নেটওয়ার্ক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে, আতঙ্কবাদীদের টার্গেটে রয়েছে বেশ কয়েকজন নেতা।

আল-কায়দার(Al-Qaeda) আতঙ্কী পশ্চিমবঙ্গে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Al-Qaeda's network spread in many district of w.b, w.b leaders being targeted by terrorists.

বাংলার কয়েকজন নেতা আল-কায়দার টার্গেটে রয়েছে। সূত্রমতে, পাকিস্তানের করাচি ও পেশোয়ারে আল-কায়দা আতঙ্কবাদীদের ভর্তির জন্য নতুন অনলাইন নিয়োগ কেন্দ্র শুরু করেছে।


পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আতঙ্কবাদী সংগঠন আল-কায়দা নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। একাজে স্লিপার সেলও (Sleeper cell) সক্রিয় রয়েছে, যা যুবসমাজকে উৎসাহিত করার জন্য ক্রমাগত তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করে চলেছে।

সম্প্রতি, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) মুর্শিদাবাদ, কেরল এবং কর্ণাটক থেকে ১১ জন আতঙ্কবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর NIA- এর হাতে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

আরোও পড়ুন: আবারও আল-কায়দার মুর্শিদাবাদ মডিউলের দশম আতঙ্কবাদী গ্রেপ্তার, ভারতে ছিল বড় হামলার পরিকল্পনা- NIA

NIA- এর মতে, এর মধ্যে বাংলায় সন্ত্রাসবাদী হামলা (Terrorist Attack) চালানোর পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও বাংলার বেশ কয়েকজন নেতা আল-কায়দার নিশানায় রয়েছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় জাল বিছিয়ে রেখেছে আল-কায়দা:


সূত্রমতে, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ সীমান্তবর্তী জেলায় কয়েকজন যুবককে সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের যুবকরা রয়েছে।

আরোও পড়ুন: NIA প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গে অনেক বড় আল-কায়দার নেটওয়ার্ক, আরোও অনেক লোক আল-কায়দায় হয়ে কাজ করছে।

মুর্শিদাবাদ আল-কায়দার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। মালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগনাতেও একিই রকম অবস্থা। এখানে তাদের স্লিপার সেল প্রচুর রয়েছে। বাংলা এবং কেরালার স্লিপার সেলগুলি পারস্পরিক চুক্তিতে কাজ করে।

বাংলাদেশের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ ঘটছে :


সূত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের সাথে সংগঠন বিস্তারের জন্য অর্থ পাঠানো হচ্ছে। NIA সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল মোমিন সহ অন্যান্য আতঙ্কবাদীরা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনেক গোপন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাই থেকে টাকা আসে :


সূত্র অনুযায়ী বাংলাদেশে কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী নেতার সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ভারতে আল -কায়দার সংগঠনের সম্প্রসারণের জন্য তিনি তার পরিচিতদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব থেকে টাকা চেয়ে পাঠাতো। অভিযুক্ত বিদেশ থেকে আসা তহবিল বাংলা ও কেরালায় ছড়িয়ে পড়া সদস্যদের কাছে পৌছে দিত। হাওয়ালার (Hawala) সাথেও এই আতঙ্কী জড়িত।

সন্ত্রাসী আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি:


সূত্র অনুযায়ী আল-কায়দার আতঙ্কী পশ্চিমবঙ্গে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে আল-কায়দা মডিউল এবং স্লিপার সেলের সহায়তায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর প্রস্তুতি চলছে। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন নেতা আল-কায়দার আতঙ্কীদের টার্গেটে রয়েছে। সূত্রমতে পাকিস্তানের করাচি ও পেশোয়ারে আল-কায়দা আতঙ্কীদের ভর্তির জন্য নতুন অনলাইন নিয়োগ কেন্দ্র শুরু করেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad