গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ। মুসলিম মহিলা দিলেন হিন্দু দম্পতিকে পুত্র-সুখ। সন্তানের জন্মের আগে পর্যন্ত নিরামিষ খাবার খেলেন। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০

গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ। মুসলিম মহিলা দিলেন হিন্দু দম্পতিকে পুত্র-সুখ। সন্তানের জন্মের আগে পর্যন্ত নিরামিষ খাবার খেলেন।

গুজরাট: একজন মুসলিম মহিলা গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ রাখলেন।

Communal harmony in Gujarat, surrogate mother


রাজকোট শহরে এক হিন্দু দম্পতির কোনও সন্তান ছিলনা। এক মুসলিম মহিলা তাদের সন্তান সুখের আনন্দ দেওয়ার জন্য সারোগেসির Surrogacy মাধ্যমে মা হন। তারপরে শিশুটিকে সেই হিন্দু দম্পতির হাতে তুলে দেন।


উক্ত মুসলিম মহিলার মধ্যে একতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার অনুভূতি এত বেশি ছিল যে তিনি একজন পেশাদার সারোগেট মহিলা না হওয়া সত্ত্বেও, তিনি হিন্দু পরিবারকে সন্তান দেওয়ার জন্য হিন্দুদের মতো বিধি মেনে চলেন। অর্থাৎ সন্তানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত তিনি নিরামিষ খাবার গ্রহণ করেন।

হিন্দু সংস্কৃতি জানার জন্য, সোশ্যাল মিডিয়া সাহায্য নিয়ে ভ্রূণকে রীতিনীতি সংস্কার দেন। একইভাবে স্বাস্থ্যবান সন্তানের জন্মের জন্যও মানত করেন। প্রার্থনা থেকে শুরু করে হিন্দু-ভারতীয় শাস্ত্র পড়েন।

এই মহিলা রাজকোটের বাসিন্দা আফসানা। যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ তম বিহার রেজিমেন্টের গজেন্দ্র সিংকে সন্তান দেন।

বিবাহের পরে গজেন্দ্র সিং এর স্ত্রী একটি পুত্র জন্ম দেন। তাঁর পুত্র ১৯ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যৌবনে ছেলেকে হারানোর পরে, এই দম্পতি আবার সন্তান প্রাপ্তির জন্য প্রয়াস শুরু করেন।

গজেন্দ্র সিংহ এবং তাঁর স্ত্রী বহু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। তারপর যখন তাঁরা গত বছরের জুলাই মাসে ডাঃ ভবেশের সাথে দেখা করেন, তখন ডঃ ভবেশ তাঁদের সারোগেট চাইল্ডের পরামর্শ দেন।

ডঃ ভবেশ বলেন, গজেন্দ্র সিং এর স্ত্রীর বয়স অধিক হওয়ার কারণে এবং শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে সারোগেট মহিলার সন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একজন মুসলিম মহিলার (আফসানা) সাথে দেখা করার পরে, বাবা-মা আইভিএফের আশ্রয় নেন।

আইভিএফ IVF থেকে টেস্ট টিউবে ভ্রূণের বিকাশ হওয়ার পরে সেটিকে আফসানা (Suggorate mother)-র গর্ভে স্থাপন করা হয়। যেটিতে প্রথম প্রয়াসেই ভাল পরিণাম পাওয়া যায় এবং আগস্টে মাসে সন্তানের জন্ম হয় যাকে তিনি লালন পালন করেন। পরে তিনি শিশুটিকে প্রাক্তন সামরিক দম্পতির হাতে তুলে দেন।

এইভাবে সেই দম্পতির পরিবারে আবারও আনন্দের পরিবেশ ফিরে আসে। একই সময়ে, লোকেরা আফসানার সম্পর্কে জানতে পেরে তাঁর খুব প্রশংসা করেন। আফসানা এভাবে মা হয়ে সাম্প্রদায়িক ঐক্যের নজির গড়ে তুললেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad