মথুরা শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমির ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ এখন এলাহাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছেছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহেক মহেশ্বরী হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছেন। আবেদকের দাবি, যে জায়গায় ইদগাহ মসজিদ নির্মিত হয়েছে, সেই জায়গাটি হিন্দুদের দেওয়া উচিত, যাতে সেই জমিতেও মন্দির তৈরি করা যায়।
এই আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত জন্মাষ্টমী বা সপ্তাহের কয়েক দিন ইদগাহ মসজিদের ভিতরে হিন্দুদের পূজা অর্চনা করার অনুমতি দেওয়া হোক।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন, আইনজীবী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রি সহ অন্য ৬ জন ব্যক্তি কৃষ্ণ বিরাজমানের পক্ষে মথুরা জেলা আদালতে একটি আবেদন করেছিলেন। একই সঙ্গে আরও তিনটি অন্য সংগঠনও এই কেসের পক্ষে জেলা আদালতে একটি আবেদন করেছে। যার ওপর ১৮ নভেম্বর শুনানির প্রস্তাব করা হয়।
আর কী কী প্রস্তাব আবেদনে রাখা হয়েছে :
আদালতের উচিত সরকারকে নির্দেশ দেওয়া যাতে এই বিতর্কিত জমি আদালতের তত্ত্বাবধানে খনন করা হয় এবং রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়।যে জায়গায় ইদগাহ মসজিদটি আছে, সেখানেই কারাগার ছিল যেখানে ভগবানের জন্ম হয়েছিল।
প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ এক্ট ১৯৯১ The places of worship act 1991 আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। এই আইনে রয়েছে ১৯৪৭ সালের পরে ধর্মীয় স্থানগুলির যেমন স্বরূপ রয়েছে তেমনই থাকবে। এই আইন কাশি, মথুরায় হিন্দুদের মালিকানার অধিকারের জন্য আইনি লড়াইকে বাধা দেয়। এই আইন রাম জন্মভূমির জন্য প্রযোজ্য ছিল না।
যেখানে ভগবানের জন্ম হয়েছিল সেখানে হিন্দুদের প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হোক, কারণ এটি হিন্দুদের মৌলিক অধিকার।
কৃষ্ণ জন্মভূমি জন্মস্থানের জন্য একটি নায্য ট্রাস্ট বানানো হোক, যাতে উক্ত জমিতে মন্দির তৈরি করা যায়।
উল্লেখ্য যে ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারক মথুরার জেলা আদালতে শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের আবেদন গ্রহণ করেছিলেন। এই বিষয়ে, জেলা জজ মথুরা সাধনী রাণী ঠাকুর ১২ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবেদনকারীর দাবি শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির ১৩ একর কাটরা কেশব দেবমন্দির পরিসরে ১৭ শতাব্দীতে ইদগাহ মসজিদ নির্মিত হয়েছিল।
এর আগে মাথুরার সিভিল কোর্ট এই আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরে আবেদনকারীরা এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মথুরা সিভিল জজ সিনিয়র বিভাগে শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন হরিশঙ্কর জৈন, বিষ্ণু জৈন এবং রঞ্জনা অগ্নিহোত্রি।
মথুরার আদালতে দায়ের করা দেওয়ানী মামলায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি পরিসরে ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানার অধিকার চাওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি মন্দিরের স্থান থেকে ইদগাহ মসজিদটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
এর আগে ২৮ শে সেপ্টেম্বরে হওয়া সংক্ষিপ্ত শুনানিতে এডিজি ছায়া শর্মা মামলাটি শুনানির জন্য অনুমোদন করেছিলেন। শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমান এবং অন্য আরও সাতজন ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান সম্পর্কিত দাবি পেশ করেছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.