মোহাম্মদ চাঁদ ও ফৈজল হিন্দু-মুসলিম একতার দোহাই দিয়ে মথুরার নন্দবাবা মন্দির চত্বরে ঢুকে নামাজ পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

মোহাম্মদ চাঁদ ও ফৈজল হিন্দু-মুসলিম একতার দোহাই দিয়ে মথুরার নন্দবাবা মন্দির চত্বরে ঢুকে নামাজ পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে।

মথুরা: দুজন মুসলিম ব্যক্তি মথুরার নন্দবাবা মন্দির (Nandababa Temple) চত্বরে নামাজ পড়ার পরে সেখানে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

Muslim men offer namaz at Mathura temple.

ঘটনাটি ৪ দিন আগে জনপ্রিয় নন্দবাবা মন্দিরে ঘটেছিল, যখন দুজনেই সেখানে ‘জওহরের নামাজ’ পড়েছিল। রবিবার (১ লা নভেম্বর ২০২০) এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, যার ফলে হিন্দু সংগঠনগুলি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মন্দিরের সেবায়ত কানহা গোস্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।


মথুরায় মোহাম্মদ চাঁদ সহ ৪ জন যুবকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। SSP জানিয়েছে যে ফৈজল খান ও চাঁদ মোহাম্মদ সহ ৪ জন যুবকের বিরুদ্ধে বরসানা থানায় 153-A, 295, 505 ধারায় মামলা করা হয়েছে।

তিনি মামলার তদন্ত গোয়েন্দা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন। মন্দিরে নামাজ পড়ে ছবি ভাইরাল করার পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর, ২০২০) নন্দগাঁও এর প্রসিদ্ধ নন্দবাবা মন্দিরে দুপুরে দুজন যুবক তাদের সঙ্গীদের নিয়ে সবুজ টুপি পড়ে পৌছায়। একজন ব্যক্তি তার নাম ফৈজল খান এবং তাঁর সহকর্মীদের পরিচয় মোহাম্মদ চাঁদ, নীলেশ গুপ্ত এবং অলোক রতন বলে জানায়।

তারা বলেছিল তারা মন্দিরের সেবায়ত পুরোহিত কানহা গোস্বামীকে দর্শন করতে এসেছে এবং তারা হিন্দু-মুসলিম একতায় বিশ্বাসী।

সে তার মোবাইল ফোনে বহু হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীর সাথে নিজের ছবি দেখাতে শুরু করে, যাতে সে তার কথা বিশ্বাস করাতে পারে। এরপর তারা সরাসরি গেট নং-২ এর কাছে পৌঁছে যায়।

করোনার মহামারীর কারণে মন্দিরে লোকের চলাচল খুব বেশি নয়, এর সুযোগ নিয়ে ফৈজল এবং চাঁদ সেখানে নামাজ পড়তে শুরু করে এবং অন্যরা ছবি তোলে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা সেখানে নামাজ পড়তে বহুবার নিষেধ করে কিন্তু তারা শোনেনি।

নীলেশ গুপ্ত এবং অলোক রত্না নিজেকে গান্ধীবাদী কার্যকর্তা হিসাবে বর্ণনা করে। হিন্দু সংগঠনগুলির মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও 'কওমি একতা দল' Quami Ekta Dal -এর মধুবন দত্ত চতুর্বেদী এটিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসাবে অভিহিত করে।

অভিযুক্তরা বলে যে তারা '৮৪ কোসের যাত্রা'-য় এসেছে। মোহাম্মদ চাঁদ এবং ফৈজল দিল্লির 'খোদায়ে খিদমতগার' Khudai Khidmatgar সংগঠনের সদস্য। সে রামচরিত- মানস শুনিয়ে সকলকে তাদের হিন্দু-মুসলিম একতার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করে এবং বিনা অনুমতিতে নামাজ পড়তে শুরু করে।

সেবায়েত কৃষ্ণ মুরারি ওরফে কানহা গোস্বামী বলেছেন মথুরার নন্দবাবা মন্দির চত্বরে নামাজ পড়ার বিষয়ে তাঁর কোনও তথ্য ছিল না। ফৈজল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি পোস্ট করে।

বিজেপি নেতা প্রেম শ্রোত্রিয় বলেন মন্দিরে নামাজ পড়ে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার কাজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পঙ্কজ গোস্বামী বলেছেন 'মন্দিরের মর্যাদা লঙ্ঘন করা হয়েছে'। নন্দন লাল জিজ্ঞাসা করেছেন "মসজিদগুলিতে কি রামায়ণ-গীতা পাঠ করা হয়?"

ফৈজল খান মন্দিরের সেবায়তকে বিশ্বাস করানোর জন্য রামায়ণের-

'রামহি কেবল প্রেম পিয়ারা, জান লেহি সো জান নিহারা' কেওয়াল প্রেম পিয়ারা, জান লেহি সো জান নীহার'

পাঠ করে।

সে দাবি করে যে তাঁর দলটি সাইকেলে করে দিল্লি থেকে এসেছে। সে আরও বলে শ্রী রাম এবং শ্রী কৃষ্ণের যে পথ, সেটাই নবীজীর পথ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad