পশ্চিমবঙ্গে আবারও হিংসাত্মক ঘটনার খবর সামনে এসেছে।
রাজারহাট এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। TMC-সমর্থিত গুন্ডাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজের কাছে পোস্টার লাগানোর সময় বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়।
দৈনিক জাগরণের প্রতিবেদন অনুসারে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তপন চ্যাটার্জির নির্দেশে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রাজারহাট এলাকায় রবিবার রাতে বিজেপির তরফ থেকে ভারত মাতার পূজার আয়োজন করা হয়। এর প্রচারের জন্য বিজেপি কর্মীরা পোস্টার লাগাচ্ছিল।
সেই সময়ে কিছু বদমাস লোক সেখানে পৌঁছে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তারা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে, তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং টুইট করে এই তথ্য দিয়েছেন।
তিনি টুইট করে লিখেছেন, “TMC গুন্ডারা নৈহাটি বিধানসভা নৈহাটি মণ্ডল -১ গোরুফাড়ি কার্যালয়ে বোমা নিক্ষেপ করেছে। TMC কে বিজেপি ভয় পেয়েছে, এই ভয় ভাল।" পরের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হবে, কিন্তু তার আগে বারংবার বিজেপির সাথে জড়িত লোকদের টিএমসির গুন্ডাদের দ্বারা টার্গেট করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, একদিন আগে শনিবার (৫ ডিসেম্বর, ২০২০) আসানসোলে বিজেপির বাইক র্যালির ওপর হামলা হয়েছিল। বিজেপি কর্মীদের উপর গুলি চালানো হয় এবং পাথর ছোঁড়া হয়। এসময় বোমাও নিক্ষেপ করা হয়।
স্থানীয় বিজেপি নেতা লখন ঘোড়ুই জানান "টিএমসি গুন্ডারা গুলি চালিয়ে ও বোমাবাজি করে ৫-৭ বিজেপি কর্মীকে আহত করে। আমরা এখন হাসপাতালে যাচ্ছি। পুলিশের সহায়তা চাইলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ”
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। নিহত শ্রমিকের নাম কালাচাঁদ কর্মকার (Kalachand Karmakar) তাঁর বয়স ৫৫ বছর। তিনি বিজেপির বুথ কমিটির সেক্রেটারিও ছিলেন।
অভিযোগ করা হয়েছিল যে পাঁচজন টিএমসি কর্মী বিজেপি নেতাকে নির্মমভাবে মারধর করে, এতে তিনি গুরুতর আহত হন, যখন উনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
টিএমসি গুন্ডাদের বিরুদ্ধে নিহত বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন। পরিবার থানায় অভিযোগ করে পাঁচ টিএমসি কর্মীর নাম দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.