বিরাট খবর! পড়ুয়াদের স্বার্থে বড়সড় সিদ্ধান্ত। অতিমারী পরিস্থিতিতে স্নাতকোত্তরে সমস্ত ফি মকুব করে বিজ্ঞপ্তি দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

বিরাট খবর! পড়ুয়াদের স্বার্থে বড়সড় সিদ্ধান্ত। অতিমারী পরিস্থিতিতে স্নাতকোত্তরে সমস্ত ফি মকুব করে বিজ্ঞপ্তি দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

কলকাতার পথেই যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি স্নাতকোত্তরে সব ফি মকুব ছাত্রদের। স্নাতকোত্তরে পড়ুয়াদের সমস্ত ফি মকুব করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

Calcutta university weived all fees for semester

শুক্রবার উপাচার্য সােনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “অতিমারীতে বহু পরিবারের আয় কমেছে, অনেক ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক হারিয়েছেন। এসব মাথায় রেখে আমরা চলতি শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের সমস্ত ফি মকুব করছি।” বিজ্ঞপ্তি জারি করেও জানানাে হয়েছে একথা।মার্কশিট বা গ্রেডশিট তােলার ক্ষেত্রেও কোনও ফি দিতে হবে না ছাত্রছাত্রীদের।


কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University)-র এই ফি মকুবের সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন স্নাতকোত্তরের সাড়ে ১২ হাজারের মত পড়ুয়া। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ফি মকুবের দাবিতে পড়ুয়াদের একটি অংশ আন্দোলন করেছিল। স্বভাবতই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর খুশি পড়ুয়ারা। এবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতেও পুরােপুরি ফি মকুবের দাবি উঠবে বলে মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানিয়েছেন, তাঁরা আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের সেমেস্টারের ফি মকুব করেছেন। একই ব্যবস্থা কার্যকর করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, ফি মকুবের সিদ্ধান্ত আমরা আগেই নিয়েছি।

পুরুলিয়ার সিধাে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তরের কোনও পড়ুয়া বা তাদের পরিবারের কোনাে সদস্য কোভিড আক্রান্ত হলে পুরােপুরি ফি মকুব কার্যকর করেছে। 

সিধু ও কানুর উপাচার্য দীপক কর জানিয়েছেন, “কোভিড অতিমারীর সময়ে আমরা সদা জাগ্রত। দুস্থ ছাত্র-ছাত্রী দের কাছ থেকে কোনও ফি নেওয়া হয়নি। অনলাইন ক্লাসের জন্য আমরা স্নাতকোত্তরের প্রত্যেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে পাঠিয়েছি।”

গত বছর মার্চ থেকে কোভিডের কারণে ক্লাস হচ্ছে না। রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার বই পড়ে আছে ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে। নির্দিষ্ট সময়ে বই ফেরত না দিলে জরিমানা দিতে হয়। অতিরিক্ত টাকা জরিমানা দেওয়ার ভয়ে অনেকেই গ্রন্থাগারে আসছিলেন না।
Notice Calcutta university

এমন অবস্থায় ঋণের টাকা ফেরাতে দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মতােই জরিমানায় ছাড় ঘােষণা করেছে।

গ্রন্থাগারের জরিমানা মকুব প্রসঙ্গে সােনালিদেবী জানিয়েছেন, “অতিমারী পরিস্থিতিতেও আমরা গ্রন্থাগার আংশিকভাবে খুলে রেখেছি। ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই বই ফেরত দিতে পারেনি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি চলতি বছরে লেট ফাইন না নেওয়ার ”

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে সাড়াও মিলেছে আশানুরূপ। বিনা জরিমানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিংহভাগ বই ফেরত পেয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad