নয়াদিল্লি: "মিশন চন্দ্রযান-২" অভিযান সম্পূর্ণ সফল হয়নি ঠিকই কিন্তু মিলেছিল আংশিক সাফল্য।
বহু আশা জাগিয়েও শেষ মুহূর্তে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল বিক্রম ল্যান্ডার (Vikram Lander)। কিন্তু তাতে কী!। অরবিটার তাে এখনও চক্কর কাটছে চাঁদেরই কক্ষপথে। আর তাতেই খোঁজ মিলছে নতুন নতুন তথ্যের।
চাঁদের মাটিতে জল এবং হাইড্রক্সিল অণু খুঁজে পেয়েছে চন্দ্রযান -২। চাঁদের ২৯ থেকে ৬২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে এই নমুনা মিলেছে।
পৃথিবীর উপগ্রহটি কী কী ধরনের খনিজ পদার্থ, কী পরিমাণে নিয়ে গঠিত, তা বিশ্লেষণ করাই আসল উদ্দেশ্য ছিল অরবিটারের, আর তা করতে গিয়েই অরবিটারে থাকা ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটার চাঁদের তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণচ্ছটা
পর্যবেক্ষণ করে হাইড্রক্সিল ও জলের অণু খুঁজে পেয়েছে।
অরবিটারে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের কাজে ইসরাের বিজ্ঞানী -রা ছাড়াও যুক্ত ছিলেন দেরাদুনের আইআইআরএস (IIRS)-এর একঝাক বিজ্ঞানী। আর তাদেরই দাবি, সৌর বাতাসের সঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠের অবঘর্ষ জনিত রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ওই অণুসমূহ উৎপন্ন হয়েছে।
চন্দ্রায়ন-২ (Chandrayaan-2) এর ‘হাইড্রেশন সংক্রান্ত আইআইআরএস সেন্সর যে তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা বিশ্লেষণ করেই মিলেছে OH এবং H2O। এই সমস্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে কারেন্ট সায়েন্স' নামের জার্নালে। আরও জানা গিয়েছে যে, চাঁদের উচ্চ অক্ষাংশের অন্তর্গত, সূর্যালােকিত উজ্জ্বল অংশে অনেক বেশি পরিমাণে হাইড্রক্সিল এবং জলের অণু রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২২ জুলাই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময় ল্যান্ডার বিক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছিল চাঁদের পাথুরে ভূমিতে। সেটি বিকল হয়ে পড়লেও অরবিটারটি অক্ষত ছিল, সেটি সমানে কাজ করে চলেছে। সেই ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে ইসরাে নতুন উদ্যমে কাজ করেছে চন্দ্রযান -৩ নিয়ে।
সব ঠিক থাকলে আগামী বছরই চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান -৩। আপাতত যতটুকু জানা গিয়েছে, তা হল চন্দ্রযান-৩ এর মধ্যে থাকবে। কেবলমাত্র ল্যান্ডার এবং রােভার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.