রক্ত পতাকার বদলে এবার দেশজুড়ে পার্টি অফিসে তেরঙ্গা ওড়াবে সিপিএম।
অবশেষে ভারতীয় হয়ে ওঠার চেষ্টায় সামিল হল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মার্ক্সবাদী (CPIM) বঙ্গ শাখা! নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র ধাক্কায় দেরিতে হলেও বোধোদয় হল তাদের!
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা তােলার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম (CPIM) কেন্দ্রীয় কমিটি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানাে হয়েছে পার্টির তরফ থেকে। সেইসঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামে বামপন্থীদের অবদান বছরভর দেশজুড়ে প্রচার চালানাে হবে বলে জানানাে হয়েছে আলিমুদ্দিনের তরফে।
‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়' বলে দেশের স্বাধীনতাকে যারা মানতে অস্বীকার করেছিল, তাদের হাতেই এবার উঠতে চলেছে তেরঙ্গা পতাকা। চিরকাল তেরঙ্গার বদলে লাল রক্তবর্ণ পতাকা বহন করতে অভ্যস্ত বামেরা এবার পার্টি অফিসে তেরঙ্গা পতাকা তােলার সিদ্ধান্ত নিল।
আগামী রবিবার সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় ও শেষ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১৫ আগস্ট দেশের সমস্ত দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত বলে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে জানানাে হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামে বাম- পন্থীদের ভূমিকা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক, যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি রয়েছে। এই নিয়ে ইতিহাসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন বামেদের ভূমিকা নেতি-বাচক ছিল বলেও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। তার পাল্টা প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম।এক বছর ধরে দেশজুড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে বামপন্থীদের ভূমিকা প্রচার করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, হঠাৎ এমন প্রয়ােজন হল কেন? তার ব্যাখ্যা দিয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য এবং যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সায়নদীপ মিত্রের দাবি, বর্তমানে দেশের সামনে ধর্মনিরপেক্ষ-তা, সাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্র বিপন্ন। কমিউনিস্টদের সম্পর্কে দেশজুড়ে অপপ্রচার চলছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বামপন্থীদের ভূমিকা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সংঘ পরিবার, তার মােকাবিলা করতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি সেইসঙ্গে পূজোর পর থেকেই শুরু হচ্ছে পার্টির সাংগঠনিক সম্মেলন।
এখন বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে চাইছে cpim। তাই নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়া হবে তেরঙ্গা পতাকা। এখন থেকে তাঁরা সেই পতাকা পার্টি অফিসগুলিতে উত্তোলন করবে। পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। তার মধ্যে দিয়েই তৈরি হবে জনসংযোগ।
যদি স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকার পরিবর্তে পার্টি অফিসে চিরাচরিত প্রথা অবলম্বন করে লাল পতাকা তোলা হয় তাহলে আবার বড় ধাক্কা খেতে হতে পারে। তাই বিপ্লবের পথটা একটু বদলে নেওয়া হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.