দেশভাগের যন্ত্রণা কখনও ভোলার নয়। ১৪ আগস্ট উদযাপিত হবে "বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস"।প্রধানমন্ত্রী মোদির বড় ঘোষণা। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১

দেশভাগের যন্ত্রণা কখনও ভোলার নয়। ১৪ আগস্ট উদযাপিত হবে "বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস"।প্রধানমন্ত্রী মোদির বড় ঘোষণা।

প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশভাগের ভয়াবহতাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৪ আগস্ট দিনটিকে "বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস" হিসেবে পালন করার ঘোষনা করলেন।

14th august will be observed as partition horrors remembrance day, Narendra Modi

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা করেছেন যে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময় আমাদের জনগণের সংগ্রাম ও আত্মবলিদানের স্মরণে ১৪ আগস্ট দিনটিকে "বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস" (Partition Horrors Remembrance Day)' দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, দেশভাগের বেদনা কখনো ভোলা যাবেনা। তিনি স্মরণ করেন কিভাবে ঘৃণা এবং হিংসার কারণে আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাই বোনদের বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল এমনকি তাদের জীবনও হারাতে হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আশা করেন যে "বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস" এর এই দিনটি কেবল আমাদের বৈষম্য, শত্রুতা এবং কু-ইচ্ছার বিষ দূর করতে অনুপ্রাণিত করবে তা নয়, বরং এতে ঐক্য, সামাজিক সম্প্রীতি এবং মানবিক অনুভূতি মজবুত হবে।"

১৪ ই আগস্ট সেই দিন যেদিন ভারত বিভাজনের স্ট্যাম্প লেগেছিল এবং বড় মাপের হত্যালীলা চলেছিল। এই দিনটিতে পাকিস্তান তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করে।

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসন ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টের দিন দেখা যায়, যখন লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে তাদের বাড়িঘর এবং সম্পত্তি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল।

এই দিনে ভয়ানক দাঙ্গা হয়েছিল। বিশেষ করে পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ছিল, কারণ এই দুই রাজ্যের একটি বড় অংশ পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল। এই ঘটনায় ১.৫ কোটি হিন্দুকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

ভারত-পাকিস্তান বিভাজন এবং এর পরবর্তী দাঙ্গায় ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল, এমনকি শিশুরাও রেহাই পায়নি। কিছু শিখ মহিলা নিজের সম্মান বাঁচাতে গুরুদুয়ারাতেই আত্মহত্যা করেছিলেন, কোথাও শরণার্থী ভর্তি ট্রেনে নরসংহার হয়েছিল।

যে দেশে রাজনেতারা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছিলেন এবং অন্যদিকে নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। দেশভাগের আগেই ভারতে ব্যাপক নরসংহার শুরু হয়ে গিয়েছিল। মহাত্মা গান্ধী 'খিলাফত আন্দোলন' সমর্থন করেছিলেন।

১৯২০ সালের ২৮ এপ্রিল মালাবারে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল। তখন থেকেই হিন্দুদের গণহত্যা শুরু হয়। ১৯২১-২২ সালে ইসলামী মৌলবাদীরা কেরালায় খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে লক্ষ লক্ষ হিন্দুর নরসংহার করে। জিন্নাহ বাংলার হিন্দুদের হত্যা করে ইসলামী দেশ বানানোর কথা বলেছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad