আর্কিটেকচার নিয়ে পড়তে চাও? হতে চাও ইঞ্জিনিয়ার ? সামনে রয়েছে কঠিন পরীক্ষা। কী সেই পরীক্ষা? কেমন হয় সেই পরীক্ষা? সেই তথ্যই খুঁটিনাটি তুলে ধরা হল। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

আর্কিটেকচার নিয়ে পড়তে চাও? হতে চাও ইঞ্জিনিয়ার ? সামনে রয়েছে কঠিন পরীক্ষা। কী সেই পরীক্ষা? কেমন হয় সেই পরীক্ষা? সেই তথ্যই খুঁটিনাটি তুলে ধরা হল।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কম্পিউটার সায়েন্স, আইটি, সিভিল তাে রয়েছেই, এখন বহু ছাত্রছাত্রীই আর্কিটেকচার (Architecture) নিয়ে আগে থেকে পড়ার অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।

Study of Bachelor degree in Architecture

আর্কিটেকচারে স্নাতক স্তরে পড়াশােনা করতে হলে কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এটি জাতীয় স্তরের পরীক্ষা। পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার (Bachelor of Architecture) বা বি আর্ক কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে দিতে হয় ন্যাশনাল অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ইন আর্কিটেকচার (National Aptitude Test in Architecture)


দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্কিটেকচার
নিয়ে পড়ার জন্যই এই প্রবেশিকা পরীক্ষা। পরীক্ষাটি নেয় কাউন্সিল অফ আর্কিটেকচার (Council of Architecture)

জাতীয়স্তরে এটি পরীক্ষা হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে সিট পড়ে। কলকাতায় পরীক্ষাকেন্দ্র থাকে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক কেন্দ্রে পরীক্ষার সিট থাকে। যেমন, হাওড়া, দূর্গাপুর, শিলিগুড়ি, আসানসােল। এ বছরের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা আছে।

প্রবেশিকা পরীক্ষা তিনটি হয়। প্রার্থী চাইলে একটির বেশিতে বসতে পারে। যে পরীক্ষায় ভাল র‌্যাঙ্ক হবে, সেটার ভিত্তিতে ভর্তি হবে।

কারা পরীক্ষার যােগ্য :

৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে সায়েন্সে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেই এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। উচ্চ-মাধ্যমিকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক থাকতেই হবে। সােজা কথা, উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্ক আবশ্যিক বিষয় হিসাবে থাকতেই হবে।

প্রবেশিকার ধরণ :

প্রার্থী বাছাই করা হয় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। মােট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রথম পর্বে প্রার্থীর ড্রয়িং দক্ষতা। আর দ্বিতীয় পর্বে থাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক, জেনারেল অ্যাপ্টিটিউট, লজিক্যাল রিজনিং বিষয়ে প্রশ্ন থাকে,মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্ন থাকে। মােটামুটি উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার প্রশ্ন থাকে। অনেক ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরের কয়েকটি প্রশ্নও আছে।

একদিনেই পরীক্ষা শেষ হয়। দু'টি ধাপে পরীক্ষা হয়। ড্রয়িং পরীক্ষার জন্য সময় দেওয়া হয় দু’ঘণ্টা। দ্বিতীয় পরীক্ষাটির জন্য সময় মেলে এক ঘন্টা ১৫ মিনিটের মতাে। পরীক্ষায় কোনও নেগেটিভ মার্কিং নেই।

কীভাবে আবেদন :

অনলাইনে www.nata.nic.in ছাত্র বা ছাত্রীকে আবেদন
করতে হয়। মনে রাখতে হবে, আবেদন করার সময় প্রার্থীকে জেপিজি ফর্ম্যাটে স্ক্যান করা রঙিন ছবি আপলােড করতে হবে। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের সময় একটি নম্বর দেওয়া হবে, সেটি লিখে রাখতে হবে। পরে অবশ্য সেটা কাজে লাগবে।

পরীক্ষার ফি ২০০০ টাকা। তবে সংরক্ষিত প্রার্থীর জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। তাদের দিতে হবে ১৭০০ টাকা। ওই ফি অনলাইনে দিতে হয়। ফর্ম ফিলাপের পর তার একটি প্রিন্ট আউট বের করে রাখতে হবে। পরীক্ষার মােটামুটি ১ সপ্তাহ আগে অনলাইনে অ্যাডমিট কার্ড মিলবে।

পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে। ওয়েবসাইট থেকেই সেই নম্বর পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই পরীক্ষায় ভাল র‌্যাঙ্ক করতে চাইলে প্রার্থীকে অবশ্যই আঁকায় ভাল হতে হবে। নতুন ভাবনা থাকতে হবে। এবং সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ফিজিক্স, অঙ্ক, কেমিস্ট্রি খুঁটিয়ে পড়তে হবে। না হলে ভাল ফল করা অসম্ভব।

পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার বা বি আর্ক কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে দিতে হয় ন্যাশনাল অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ইন আর্কিটেকচার’। দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়ার জন্যই এই প্রবেশিকা পরীক্ষা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad