TMC যুবনেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার ১০ টন রেশনের চাল ও আটা। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

TMC যুবনেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার ১০ টন রেশনের চাল ও আটা।

মালদা: যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে রেশন সামগ্রী চাল ও আটা।

10 tonnes of ration rice and flour recover from tmc leader house in kaliachak

ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ এলাকায়। ওই যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ১০ টন রেশনের চাল ও আটা উদ্ধার হয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই যুব তৃণমূল নেতা। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্য আরেক জনকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয় নিয়ে বিজেপি অনেক দিন আগেই অভিযােগ তুলেছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুশান্ত চৌধুরী কালিয়াচক ১ ব্লকের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ গ্রামে।

অভিযােগ বাড়িতে বেআইনিভাবে রেশনের খাদ্য সামগ্রী মজুত করে রেখেছিল সে। বিভিন্ন ডিলারের কাছ থেকে রেশনের খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে ভিন রাজ্যে পাচার করা হত।

পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, এর আগে তাদের বাড়ি থেকে কয়েক গাড়ি খাদ্য সামগ্রী পাচার করা হয়েছে। তারা তৃণমূল দলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই এই কাজ করত।

গােপন সূত্রে খবর পেয়ে, কালিয়াচক থানার পুলিশ ও জেলা ফুড ইন্সপেক্টর কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে সুশান্ত চৌধুরীর বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় ১০ টনের মতাে আটা ও চাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুশান্ত চৌধুরীর দাদা বিকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আসার আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তৃণমূল নেতা সুশান্ত চৌধুরী।

কালিয়াচক থানার আইসি (IC) মদনমােহন রায় জানান পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে বেশ কয়েক টন রেশনের খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি তার দাদা বিকাশ চৌধুরীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাচার কান্ডের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

অন্যদিকে বৃস্পতিবার বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ একটি লরি ভর্তির রেশনের খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করে। এর পাশাপাশি দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। এই ঘটনায় গােটা বৈষ্ণবনগর এলাকা জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। তারপরেই নড়েচড়ে বসে জেলা খাদ্য দপ্তর।

তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, ফুড ইনস্পেক্টর আটা ভাঙা মেশিনের ঘর থেকে কিছু আটা ও চাল যাচাই করার জন্য নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিরােধীরা এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।

জেলা বিজেপি সভাপতি গােবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, রেশনের খাদ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের জন্য মূলত কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করে থাকে। কিন্তু তৃণমূল নেতারা ডিলারদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারছে। ফলে প্রকৃত রেশন প্রাপকেরা রেশন পান না, তখনই বিবাদ ঝামেলা শুরু হয়। এর পেছনে যে শাসক দলের মদত রয়েছে তা এর আগেই আমরা বলেছি এখন তা প্রমাণিত।

কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি সারিউল শেখ জানান, সুশান্ত চৌধুরী ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাদের বাড়িতে একটি গম ভাঙা মেশিন আছে সেখানে অনেকেই গম ভাঙাতে দিয়ে যায়। সেখান থেকে কিছু খাদ্য সামগ্রী যাচাই করার জন্য নিয়ে গিয়েছে ফুড ইন্সপেক্টর এবং সেই সঙ্গে সুশান্তর দাদা বিকাশ চৌধুরীকেও নিয়ে গিয়েছে।

এখানে রেশনের খাদ্য সামগ্রী মজুত করে রাখার মত কিছুই ঘটেনি। এ নিয়ে বিজেপি অযথাই ভুল তথ্য দিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad