উত্তর ২৪ পরগনার ঘােলা থানার অন্তর্গত পশ্চিম তেঘড়িয়ায় তৃণমূলের গােষ্ঠীদ্বন্দ্বে জখম এক। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

উত্তর ২৪ পরগনার ঘােলা থানার অন্তর্গত পশ্চিম তেঘড়িয়ায় তৃণমূলের গােষ্ঠীদ্বন্দ্বে জখম এক। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

ব্যারাকপুর : তৃণমূলের গােষ্ঠীদ্বন্দ্বে বুধবার রাতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালাে ঘােলা থানার অন্তর্গত পশ্চিম তেঘড়িয়া এলাকায়।

Tmc inner conflict in teghoria

দুই গোষ্ঠীর মারপিটে আহত ২৮ বছর বয়সী তৃণমূলের কর্মী বিটু সিং। গুরুতর আহত অবস্থায় তৃনমূল কর্মী বিটু সিংকে কামারহাটি সাগরদত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘােলা থানার মুরাগাছা শীল পাড়ার বাসিন্দা বিটু সিং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। অভিযােগ, বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে আসা সুদীপ দাস ওরফে ঘন্টুর নেতৃত্বে দলবল নিয়ে হানা দেয়। এরপর রাস্তায় ফেলে বিটুকে বেধড়ক পেটায়, এমনকি পিস্তলের বাট দিয়েও আঘাত করা হয়। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী বিটু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসারত।

অভিযােগ উঠছে,শাসকদলের গােষ্ঠী কোন্দলের জেরে অশান্ত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন পশ্চিম তেঘড়িয়া। আক্রান্তের দিদি স্মরিতা সিংয়ের দাবি, ভাই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়।

তিনি জানান, ঘটনার দিন রাতে ভাই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে গাড়ি পার্কিং করে বাড়ির দিকে আসছিল। সেইসময় সুদীপ দাস ওরফে ঘন্টুর নেতৃত্বে দলবল এসে ভাইকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।

ইতিমধ্যে ঘােলা থানায় অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে।স্মরিতা আরও জানান, বছর তিনেক আগে ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল অভিযুক্ত ঘন্টুর সাথে। তখন ভাই ঘন্টুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযােগ দায়ের করেছিল।তারপর থেকে অভিযােগ তুলে নেবার জন্য ঘন্টু যথারীতি চাপ সৃষ্টি করতাে ভাইয়ের ওপর। বাড়িতে এসে ঘন্টু ভাইকে একবার হুমকিও দিয়ে গিয়েছিল।

আক্রান্তের বন্ধু বান্টি কর জানান, বিটুকে রাস্তায় ফেলে ১০ -১৫ জন মিলে বেধড়ক পিটিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত ঘন্টু আগে ঘােলা থানার ডাক মাস্টারের কাজ করতাে। তবে দাদাগিরি করার জন্য সে ডাক মাস্টারের চাকরি হারায়। এর আগেও একবার ঘন্টুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

অভিযােগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘােলা থানার পুলিশ। এদিকে বিটুর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুললেন আক্রান্তের পরিবার ও পড়শিরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad