সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে পার্থ চ্যাটার্জির প্রশ্ন ওরা ১৫ কিমি সামলাতে পারে না, ৫০ কিমি নিল কেন? - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে পার্থ চ্যাটার্জির প্রশ্ন ওরা ১৫ কিমি সামলাতে পারে না, ৫০ কিমি নিল কেন?

যারা ১৫ কিমি নিয়ে সফল হল না, তারা ৫০ কিমি নিতে গেল কেন? এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

Partha Chatterjee comment on the bsf expansion

বুধবার বিধানসভায় নিজের বাড়িতে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্যের শিল্প ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি (Partha Chatterjee)। তিনি বলেন, “এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামােকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।"


এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি (Narendra Modi)- কে চিঠি লিখেছেন। পেছনের দরজা দিয়ে রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে।

সাংসদ ও দলের মুখপাত্র সৌগত রায় বলেন, 'বিএসএফ এর পরিসর বাড়ানাে নিয়ে যখন রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব নেওয়া হয়, সেই সময় বিএসএফের মতাে সরকারি দপ্তর এ সব নিয়ে মুখ খুলতে পারে না। এটা নীতিবিরুদ্ধ ও প্রথাবিরুদ্ধ কাজ। এই ধরনের কাজ করার স্বাধীনতা বিএসএফ (BSF)-র নেই।

এদিকে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় ডিজি ওয়াই বি খুরানা (Y.B Khurana) জানান, রাজ্যে BSF এর কাজের পরিসর বাড়লেও ক্ষমতা বাড়েনি। তাঁর দাবি তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত ও আটক ছাড়া আর কোনও অতিরিক্ত ক্ষমতা তাঁদের নেই।

তদন্ত বা এফআইআর (FIR) করার অধিকার রাজ্য পুলিশের হাতেই থাকছে। রাজ্য পুলিশ BSF এর সাথে পূর্ণ সহযােগিতা করে চলেছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গেও তাঁদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি খুরানার। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁদের সহযােগিতা করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মােদি সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামাের তােয়াক্কা না করে বাংলা, অসম ও পাঞ্জাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেশের অভ্যন্তরে ৫০ কিমি পর্যন্ত বিএসএফের কাজের সীমা নির্ধারণ করেছে। আগে এই সীমা ছিল ১৫ কিমি।

মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত না থাকলেও সেখানে গােটা রাজ্যকেই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার নামে তুলে দেওয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী জওয়ানদের হাতে। গােটা দেশে বিরােধীরা প্রতিবাদ করছেন।

রাজ্য বিধানসভায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সাংবাদিকদের মুখােমুখি হন বিএসএফের স্পেশ্যাল ডিজি। কেন্দ্রের সাফাই দিতে গিয়ে তিনি জানান, বাড়তি কোনও ক্ষমতা তাঁরা পাননি। রাজ্য সরকারের সহযােগিতা নিয়েই কাজ করবে বিএসএফ।

সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযােগ অস্বীকার করে তাঁর দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিচালনার ঘটনা অনেক কমেছে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুন্দরবনে সীমান্ত সুরক্ষায় মােট ৬ টি ভাসমান বিওপি শিগগিরই চালু হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad