Tripura Violence: ত্রিপুরায় হিংসা ছড়ানাে মসজিদ ভাঙা ও ধর্ষণের ভাইরাল ভিডিও ভুয়াে ! মহারাষ্ট্রে হিংসা রুখতে আসরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

Tripura Violence: ত্রিপুরায় হিংসা ছড়ানাে মসজিদ ভাঙা ও ধর্ষণের ভাইরাল ভিডিও ভুয়াে ! মহারাষ্ট্রে হিংসা রুখতে আসরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

আগরতলা : সম্প্রতি ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙা ও ধর্ষণের যে খবরগুলি বিভিন্ন সােশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়াে।

Mosque attack and burnt in tripura are fake

শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানাে হয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই সােশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক খবর ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ত্রিপুরার গােমতী জেলায় একটি ও একাধিক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযােগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রেও অশান্তি ছড়িয়েছে।


ত্রিপুরা পুলিশের পর এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও জানানাে হল খবরগুলি ভুয়াে এবং তথ্য বিকৃত করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।

এদিকে, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের রােষানলে পড়তে হল দুই মহিলা সাংবাদিককে। সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা নামে ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।

ত্রিপুরা পুলিশের তরফে অবশ্য জানানাে হয়েছে এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক সমর্থক
অভিযােগ দায়ের করেছিলেন, সেই অভিযােগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর (FIR) বলে জানানাে হয়েছে।

এদিকে ওই দুই মহিলা সাংবাদিকের বক্তব্য, তাঁরা ত্রিপুরার
যে হােটেলে রয়েছেন, সেই হােটেলে আজ সকালে পুলিশ
আসে। ওই পুলিশকর্মীরা তাঁদের রীতিমতাে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে জানাল স্ব-অভিযােগ সমৃদ্ধি এবং স্বর্ণার।

জানা গিয়েছে, ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক যে হিংসার খবর ছড়িয়েছিল, সেই সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানাে হয়েছে, ওই হিংসার অভিযােগ ভুয়াে।

অভিযােগকারী কাঞ্চন দাসের বক্তব্য, ওই দুই সাংবাদিক বিভিন্ন ধর্মীয় গােষ্ঠীর মধ্যে বৈরিতা ছড়ানাের কাজে যুক্ত ছিল এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেই অভিযােগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ ধারা এবং ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সমৃদ্ধি সাকুনিয়া আজ একটি টুইটে অভিযােগ করেছেন যে তাদের হােটেল থেকে বেরােতে দেওয়া হচ্ছে না।

সূত্রের খবর, পুলিশের তরফে তাঁদের হাতে একটি নােটিস
ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ২১ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

ত্রিপুরা পুলিশের এক রাষ্ট্র মন্ত্রক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘FIR-এর ভিত্তিতে আমরা আজ ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার একটি হােটেলে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নিয়েছিলাম।

প্রাথমিক তথ্যের জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমরা তাঁদের একটি নােটিস দিয়েছি। তাঁরা আমাদের কিছু সময় দেওয়ার জন্য অনুরােধ করেন, যাতে তাঁরা তাঁদের আইন-জীবীর সঙ্গে হাজির হতে পারেন। সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad