অস্বচ্ছ নিয়ােগের অভিযােগে দায়ের হওয়া মামলার জেরে মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সাম্প্রতিক সময়ে এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত বিরল বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়ােগে মেধাতালিকায় উপরের দিকে নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি,কিন্তু নীলমণি বর্মন নামে এক ব্যক্তির নাম মেধাতালিকায় নিচের দিকে থাকলেও তিনি চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযােগ তুলে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রশান্ত দাস নামে এক চাকরিপ্রার্থী।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি উঠলে
গােটা বিষয়টি তুলে ধরেন প্রশান্তর আইনজীবী ফেরদৌস শামিম। নিয়ােগে কোথাও একটা অস্বচ্ছতা রয়েছে এই অভিযােগ কার্যত তখন স্বীকার করে নেয় এসএসসি কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি তখন জানিয়ে দেন, নিয়ােগে গােলমাল রয়েছে জেনেও কেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এরপরই আদালতের তরফে প্রশ্ন তােলা হয়, নিয়ােগে ভুল থাকলে কেন বেতন দেওয়া হচ্ছে ওই শিক্ষককে। SSC-র তরফে জানানাে হয়, মামলাটি বিচারাধীন বলে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই যুক্তিতে অসন্তুষ্ট হয় হাইকোর্ট। অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কমিশনের তরফ থেকে পাল্টা জানানাে হয়, যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন তাই কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিচারপতি তখন নির্দেশ দেন মামলা বিচারাধীন থাকলেও সরকারি পয়সায় ওই প্রার্থীকে বেতন দেওয়া যাবে না।
গত ২২ নভেম্বর মামলাটি শুনানি থাকলেও তা পিছিয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অভিযুক্ত প্রার্থী নীলমণি বর্মনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এবিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এরকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়ােজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.