দুই রাজমিস্ত্রি ‘প্রেমিক’ আজ সকালে আসানসােল রেল স্টেশনে দুই ‘প্রেমিকের সঙ্গে পুলিসের হাতে ধরা পড়ল বালি নিশ্চিন্দার আনন্দনগরের কর্মকার বাড়ির নিখোঁজ দুই বউ। ওই চার জনের সঙ্গে ছিল কর্মকার বাড়ির সাত বছরের এক নাতিও।
গােপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে বুধবার সকালে আসানসােল রেল স্টেশনে ফাঁদ পাতে নিশ্চিন্দা থানার পুলিস। আর তাতেই মেলে সাফল্য। পুলিশের জালে ধরা পড়ে ওই চারজন প্রেমিক-প্রেমিকা।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, মুম্বইতে কয়েকদিন থাকার পরই তাঁদের ভাঁড়ারে টান পড়ে। টাকার যােগানে টান পড়তেই চার জনে আবার এরাজ্যে ফেরার মনস্থির করে। পুলিসের কাছে খবর ছিল যে, আসানসােলে তাঁরা ট্রেন থেকে নেমে আবার অন্য ট্রেনে উঠবে। সেইমতাে আটঘাট বেঁধে নামে পুলিস।
সেইমতো তাদের ধরতে আসানসােল স্টেশনে ফাঁদ পাতে পুলিস। পরিকল্পনা মতই ধরা পড়ে নাতি সহ দুই রাজমিস্ত্রি ও দুই বউ। আপাতত সকলেই সুস্থ আছেন। তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত ১৫ ই ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে শীতের পােষাক কেনা-কাটার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল কর্মকার পরিবার এর দুই বউ। সাত বছরের নাতিকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল বড় বউ অনন্যা কর্মকার ও ছােট বউ রিয়া কর্মকার। তারপর সেদিন বিকাল থেকেই তাদের আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। একদিকে মােবাইল সুইচড অফ অন্যদিকে, বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতের বাড়ি গিয়েও কোনও হদিশ মেলেনি।
শেষবারের মত তাদের মােবাইলের টাওয়ার লােকেশন পাওয়া যায়। শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ী স্ট্রিটে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তে নেমে একটি ফোন নম্বর উঠে আসে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। ওই নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিস জানতে পারে যে, মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন দুই বউ।
মাস ছয়েক আগে নিশ্চিন্দার কর্মকার বাড়ি নতুন করে তৈরির কাজ শুরু হয়। সেইসময় বাড়িতে কাজ করতে এসেছিলেন সুভাষ ও শেখর নামে দুই রাজমিস্ত্রি। তখনই বাড়ির দুই বউয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় দু’জনের। দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ‘প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাড়ির দুই বউয়ের। এরপরই সুতিতে সুভাষের বাড়িতে পুলিস অভিযান চালায়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা আবার মুম্বইতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.