সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষিকাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের বীজ, রাসায়নিক সার, চাষ ও শ্রমিকের মজুরি সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে।চাষের ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা খরচ করেও অনেক সময় চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পারেন না।তাই আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ বাড়ছে।
মাটির রস সংরক্ষণে এবং আগাছা থেকে থেকে মুক্তি পেতে বহু বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষরা মালচিং পদ্ধতির ব্যবহার করে আসছিলো কিন্তু যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ চালু হওয়ার পর সহজে আগাছা দমনের নামে শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর গ্লাইসোফেট জাতীয় বিভিন্ন ধরনের ক্যামিক্যাল প্রয়োগের মতো সহজ উপায় অবলম্বন করার ফলে একদিকে কৃত্রিমভাবে মাটিতে ও ফসলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে ধবংস করে দিয়েছে প্রকৃতির লাঙ্গল কেঁচো সহ বিভিন্ন উপকারী কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড়। ফলে আমরা গ্রহন করছি বিষাক্ত খাবার খরচ করছি দ্বিগুণ অর্থ। সেই সব ক্ষতিকর ক্যামিক্যাল থেকে বাঁচতেই প্রয়োজন মালচিং।
মালচিং কি?
বিভিন্ন ধরনের বস্তু দিয়ে যখন গাছপালার গোড়া, সবজি বাগান ও বাগানের বেডের জমি বিশেষ পদ্ধতিতে ঢেকে দেয়া হয় তখন তাকে বলা হয় মালচ। আর এ পদ্ধতিটি কে বলা হয়ে থাকে মালচিং পদ্ধতি।
১. ফসলের ক্ষেতে আর্দ্রতা সংরক্ষণে মালচিং একটি বিশেষ-ভাবে উপকারী, কারণ এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ফসলের বাগানে জল সূর্যের তাপ ও বাতাসে দ্রুত শুকিয়ে যায় না। ফলে জমিতে জলের ঘাটতি হয় না এবং সেচ লাগে অনেক কম। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে প্রায় ১০ থেকে ২৫ ভাগ আর্দ্রতা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।
২. মালচিং করার জন্য যেসব মালচ উপাদান ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো জৈব ও অজৈব পদার্থ। উপাদানগুলো হলো ধান বা গমের খড়, কচুরিপানা, গাছের পাতা, শুকনা ঘাস, কম্পোস্ট, ভালোভাবে পচানো রান্নাঘরের আবর্জনা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকেও চাষিদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষি দপ্তর থেকে উৎসাহ পেয়ে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙ্গাপানি বালাসি এলাকার অনেক চাষি এবছর মালচিং পদ্ধতিতে শসা, বেগুন, টমেটো, লঙ্কা সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। চাষে সাফল্যও এসেছে যথেষ্ট।
মালচিং পদ্ধতিতে চাষের সুবিধা:
মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা ক্ষেত থেকে ইতিমধ্যেই অনেক চাষি সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অনেক চাষি এবছর মালচিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। এই পদ্ধতিতে চাষিরা অনেক জমিতে শসা, বেগুন, টমেটো ও লঙ্কা চাষ করেছেন। তাঁদের চাষে সাফল্যও এসেছে আশানুরূপ। ইতিমধ্যেই তাঁরা মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে শসা, লঙ্কা, বেগুন বিক্রি করতে শুরু করেছেন। টমেটোতে ফল নামছে।
কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে পরামর্শে এবছরই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করেছে চাষিরা। সাফল্যও এসেছে। সবজির ভালাে বাজার পেলে অবশ্যই লাভের মুখ দেখা যাবে। চাষিদের বক্তব্য সাধারণভাবে সবজি চাষ ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাঁরা বলেন, সাধারণভাবে সবজি চাষের ক্ষেত্রে গাছের রােগপােকার আক্রমণ বেশি দেখা যায়। মালচিং পদ্ধতি-তে সেটা অনেক কম।
মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমেই একসঙ্গে একটা মােটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর তেমন টাকা খরচ করতে হয় না। খাটুনিও অনেক কম। তাই সাধারণ পদ্ধতিতে সবজি চাষের চেয়ে আধুনিক মালচিং পদ্ধতি অনেকটাই ভালাে। চাষিদেরকে উৎসাহিত করে আধুনিক মালচিং পদ্ধতি-তে সবজি চাষ চলছে। এক্ষেত্রে অনেক চাষিকে আতমা প্রকল্প থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।
মালচিং পদ্ধতিতে চাষিরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারেন। মালচিং পদ্ধতিতে জমিতে জলসেচ কম লাগে। জমিতে আগাছা তেমন জন্মায় না তাই শ্রমিকের খরচ অনেক কম।
এই পদ্ধতিতে গাছ সঠিকভাবে মাটি থেকে রাসায়নিক সার গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার কম নষ্ট হয়। সেইসঙ্গে গাছের রােগ-পােকার উপদ্রব কম হয়। তাই এই পদ্ধতির চাষে চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ২০ এম এম মালচিং সিট ব্যবহার করা হলে একই বেড থেকে তিনটি ফসল চাষিরা ঘরে তুলতে পারেন।
২. মালচিং করার জন্য যেসব মালচ উপাদান ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো জৈব ও অজৈব পদার্থ। উপাদানগুলো হলো ধান বা গমের খড়, কচুরিপানা, গাছের পাতা, শুকনা ঘাস, কম্পোস্ট, ভালোভাবে পচানো রান্নাঘরের আবর্জনা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকেও চাষিদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষি দপ্তর থেকে উৎসাহ পেয়ে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙ্গাপানি বালাসি এলাকার অনেক চাষি এবছর মালচিং পদ্ধতিতে শসা, বেগুন, টমেটো, লঙ্কা সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। চাষে সাফল্যও এসেছে যথেষ্ট।
মালচিং পদ্ধতিতে চাষের সুবিধা:
মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা ক্ষেত থেকে ইতিমধ্যেই অনেক চাষি সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অনেক চাষি এবছর মালচিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। এই পদ্ধতিতে চাষিরা অনেক জমিতে শসা, বেগুন, টমেটো ও লঙ্কা চাষ করেছেন। তাঁদের চাষে সাফল্যও এসেছে আশানুরূপ। ইতিমধ্যেই তাঁরা মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে শসা, লঙ্কা, বেগুন বিক্রি করতে শুরু করেছেন। টমেটোতে ফল নামছে।
কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে পরামর্শে এবছরই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করেছে চাষিরা। সাফল্যও এসেছে। সবজির ভালাে বাজার পেলে অবশ্যই লাভের মুখ দেখা যাবে। চাষিদের বক্তব্য সাধারণভাবে সবজি চাষ ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাঁরা বলেন, সাধারণভাবে সবজি চাষের ক্ষেত্রে গাছের রােগপােকার আক্রমণ বেশি দেখা যায়। মালচিং পদ্ধতি-তে সেটা অনেক কম।
মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমেই একসঙ্গে একটা মােটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর তেমন টাকা খরচ করতে হয় না। খাটুনিও অনেক কম। তাই সাধারণ পদ্ধতিতে সবজি চাষের চেয়ে আধুনিক মালচিং পদ্ধতি অনেকটাই ভালাে। চাষিদেরকে উৎসাহিত করে আধুনিক মালচিং পদ্ধতি-তে সবজি চাষ চলছে। এক্ষেত্রে অনেক চাষিকে আতমা প্রকল্প থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।
মালচিং পদ্ধতিতে চাষিরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারেন। মালচিং পদ্ধতিতে জমিতে জলসেচ কম লাগে। জমিতে আগাছা তেমন জন্মায় না তাই শ্রমিকের খরচ অনেক কম।
এই পদ্ধতিতে গাছ সঠিকভাবে মাটি থেকে রাসায়নিক সার গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার কম নষ্ট হয়। সেইসঙ্গে গাছের রােগ-পােকার উপদ্রব কম হয়। তাই এই পদ্ধতির চাষে চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ২০ এম এম মালচিং সিট ব্যবহার করা হলে একই বেড থেকে তিনটি ফসল চাষিরা ঘরে তুলতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.