গোয়া : অভিষেক ব্যানার্জির গোয়া সফরের পূর্বেই বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল দল ছাড়লেন অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো লরেঙ্কো (Alexio Reginaldo)। আর এক মাসও বাকি নেই গোয়ার ভোটের। নির্বাচন হবে শীঘ্রই। ঠিক তার আগেই রেজিনাল্ডোর তৃণমূল সঙ্গ ত্যাগ যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃনমূল কংগ্রেসকে।
গত ২১ ডিসেম্বর বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করে যাবতীয় সম্পর্ক ইতি টেনে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছিলেন তিনি। কিন্তু এক মাস হতে না হতে ঘটল মোহভঙ্গ। তৃণমূলের সঙ্গেও সম্পর্ক ত্যাগ করেন অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই তিনি জোড়াফুল শিবিরে যোগদান করেছিলেন, কিন্তু বেশিদিন মন টিকল না তৃণমূল দলে।
রবিবার বিকেলে গোয়ার কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি রেজিনাল্ডো দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করেন। ২১ ডিসেম্বর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আগে গোয়ার কুর্তোরিমের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস কার্যনির্বাহী সভাপতি পদের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
এক মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ :
গত ২১ ডিসেম্বর কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক বিছিন্ন করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই ঘটল মোহভঙ্গ। তৃণমূল দলের সঙ্গ ত্যাগ করলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) তাঁর দলত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের এই প্রাক্তন বিধায়ক। তবে কেন তিনি দল ছাড়ছেন সেই বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাননি তিনি। এদিকে বিজেপি থেকে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতা মাইকেল লোবে লরেঙ্কো পুনরায় তাঁকে কংগ্রেসে ফিরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কি নেওয়া হবে তা নিয়ে মুখ খোলেননি রেজিনাল্ডো।
উল্লেখ্য,তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে এমন কোনও ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি তাঁর তরফ থেকে। কয়েক দিন আগেই তৃণমূলে যুব শক্তি কার্ড সংক্রান্ত টুইটও করেছিলেন তিনি কিন্তু তারপর হঠাৎই তাঁর এই দলত্যাগ বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলের গোয়া ইউনিটকে। তবে রেজিনাল্ডো তৃণমূল ত্যাগ করলেও তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হতে চলেছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি গোয়া কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি।
কুর্তোরিম থেকে তিনবারের নির্বাচিত বিধায়ক রেজিনাল্ডো কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরপরই গোয়ায় ফিরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “কংগ্রেস অনেক সময় আমাকে এড়িয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি তবুও কখনও কোন আপত্তি করিনি। কারণ দলের জন্য আমি কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চাই না। আমি কখনোই কার্যনির্বাহী সভাপতি পদ হাসিল করতে চাইনি। তারাই আমাকে এই পদ দিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম আমি। একটাই অনুরোধ ছিল আমার, তারা যেন কোনও সুযোগ হাত ছাড়া না করে। কিন্তু আমার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এরপর আমি দেখেছি তৃণমূলকে কাজ করতে। দেখেছি কিছু করার জন্য তৃণমূল কীভাবে উদগ্রীব হয়ে রয়েছে। সেই কারণেই তৃণমূলের হাত ধরা।” তবুও এই বক্তব্যের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবার তৃণমূল দল ত্যাগ করলেন কুর্তোরিমের প্রাক্তন বিধায়ক অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.