JMB Terrorism : কলকাতায় বসেই সারা দেশে নাশকতার ছক পাঁচ JMB জঙ্গির। চাঞ্চল্যকর দাবি NIA এর। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

JMB Terrorism : কলকাতায় বসেই সারা দেশে নাশকতার ছক পাঁচ JMB জঙ্গির। চাঞ্চল্যকর দাবি NIA এর।

কলকাতা : ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশে ঘাঁটি গেড়েছিল কলকাতায়।

Chargesheet against 5 jmb terrorist by nia

কলকাতায় বসে পুরো রাজ্যে, এমনকী, রাজ্য ছাড়িয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সারা ভারতে প্যান ইন্ডিয়ায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি (JMB)-র সদস্য সংখ্যা বাড়ানাে, তহবিল বৃদ্ধি এবং মজবুত নেটওয়ার্ক গঠন করাই নাজিউর রহমানদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।এর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাশকতা চালানাের ছক ছিল। গত জুলাইয়ে ধৃত পাঁচ JMB সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)


শুক্রবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতের NIA-এর বিশেষ আদালতে NIA-র পেশ করা ৬০ পাতার চার্জশিটে বাংলাদেশ এর জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষ নেতা নাজিউর রহমান ছাড়াও নাম রয়েছে মিকাইল খান, আবদুল মান্নান ও রাহুল কুমার, রবিউল ইসলামের। তদন্তকারী সংস্থা NIA এর দাবী এরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক। তাছাড়াও এরা বাংলাদেশের দাগী আসামি, বেআইনিভাবে সীমানা পেরিয়ে এদেশে এসেছে। এমনকি চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে তাদের জেল ভেঙে পালানাের কথাও। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার চারটি ধারার পাশাপাশি, আইপিসি (IPC)-র ছয়টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

এনআইএর আইনজীবী শ্যামল ঘােষ জানান, গত বছর জুলাই মাসে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকা থেকে
সন্দেহজনকভাবে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (ATS) নাজিউর রহমান ওরফে পাভেল, মেকাইল খান ওরফে এনআইএর চার্জশিট শেখ সাব্বির এবং রবিউল ইসলাম এই তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি জালি ভারতীয় কাগজপত্র, মােবাইল ফোন, একটি ডায়েরি, লিফলেট ও জিহাদি বই উদ্ধার করে। ওই ডায়েরিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশের মােবাইল নম্বর। লিফলেটে রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদি আন্দোলনের ডাক এবং রাজ্যে বােমা তৈরির আহ্বান। পরে এর তদন্তভার আসে NIA-র হাতে।

ঘটনার তদন্তে নেমে সেই সূত্র ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় জঙ্গি সংগঠনের অপর সদস্য তথা বাংলাদেশি নাগরিক রাহুল কুমার এবং আবদুল মান্নানকে। দু' বছর আগে দু'জনে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছিল। ঘটনার প্রায় ছ' মাসের মাথায় চার্জশিট দাখিল করে এনআইএ।

এনআইএ সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, আনােয়ার হােসেন ফারুক ওরফে ইমান ওরফে কালােভাই বাংলাদেশের জামালপুরের বাসিন্দা। জেএমবির মাথা প্রায় ছয় বছর ধরে এ রাজ্যের জেলে বন্দি। সে এখন রয়েছে দমদম সেন্ট্রাল জেলে। একসময়ে এ রাজ্যে জেএমবি প্রধান ফারুককে গত ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বনগাঁ থেকে আটক করা হয়। জেরার পর তার কাছ থেকে জানা যায় জেএমবি কীভাবে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডালপালা ছড়িয়েছে। হরিদেবপুর থেকে আটক করা এই তিন বাংলাদেশি জঙ্গিকে জেরা করে ওই জেএমবি সদস্যদের মুখ থেকে জানা গিয়েছে ফারুকের নাম। ফারুকের সঙ্গে তাদের যােগাযােগ ছিল ।

স্বভাবতই এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জেলে বসেই আনােয়ার হােসেন ফারুক JMB-র যাবতীয় কাজকর্ম ও নেটওয়ার্ক সামলাচ্ছে !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad