পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের আধার কার্ড করানাের কথা বলেছে কেন্দ্র। বর্তমানে যে কোনও আর্থিক সহায়তা হোক, বা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা, সর্বত্রই চাওয়া হচ্ছে শিশুদের আধার। এমনকী, ক্লাসে ভর্তির সময়ও প্রাথমিক পরিচয়পত্র হিসেবে বহু স্কুল আধার কার্ড দেখতে চাইছে। অথচ, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে শিশুদের আধার কার্ড করানাে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। আবার পরিকাঠামাের অভাবে বাড়ির কাছাকাছি আধার কেন্দ্রও বেশিরভাগ জায়গায় থাকে না। সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে ডাক বিভাগ। তদের আওতায় থাকা ইন্ডিয়া পােস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক (IPPB) শিশুদের আধার কার্ড করানোর উদ্যোগ নেয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দেওয়া ছাড়া ডাকঘরেও পাওয়া যাচ্ছে আধার কার্ড করানাের সুযােগ।
পুরসভার আওতায় থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্য-কেন্দ্র গুলিতে এই পরিষেবা শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে IPPB । এই মুহূর্তে সাধারণ কোনও নাগরিক চাইলে তাঁর বাড়ি গিয়ে শিশুদের আধার কার্ড করিয়ে আসছে ভাক বিভাগের আওতায় থাকা এই ব্যাঙ্ক। আরও একধাপ এগিয়ে সেই প্রক্রিয়াই টিকাকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসছে আইপিপিবি (IPPB)।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসে আইপিপিবিকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১ কোটি ২২ লক্ষ মানুষকে আধার সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই পরিষেবা পেয়েছেন ৪৯ লক্ষ মানুষ।
টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিকে শিশুর আধারের জন্য বাছাই করে আইপিপিবি কারন তাদের বক্তব্য, লােকবলের অভাবে সব-সময় সাধারণ গ্রাহকের দুয়ারে পৌঁছে আধার করানাে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, মােবাইল এবং আধার লিঙ্ক করার কাজের চাপ যথেষ্ট। অন্যদিকে, সার্ভারের সমস্যা থাকায় অনেক সময় সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। অথচ, টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি-তে শিশুদের নিয়ে আসতেই হয়।তাই সেখানে একজন কর্মী রাখলে একসঙ্গে অনেক শিশুর আধার একযােগে হয়ে যাবে।
প্রথমবার আধার বিনামূল্যেই করা যায়। তাই এক্ষেত্রেও টাকা লাগবে না। তবে আধারের জন্য যে খরচ হয়, তা আইপিপিবি-কে মিটিয়ে দেবে আধার কর্তৃপক্ষ বা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া UIDAI
শিশুদের আধার কার্ডের ক্ষেত্রে চোখের মণি বা আঙুলের ছাপ নেওয়ার প্রয়ােজন হয় না। অভিভাবকের সঙ্গে থাকা শিশুর ছবি দিয়েই আধার কার্ড করানাে যায় বায়ােমেট্রিকেরও ঝঞ্জাট নেই। তাই সংক্রমণের ভয়ও কম।
কবে কোথায় শিশুদের টিকাকারণ হচ্ছে,সেই বিষয়ে প্রাথমিক খোঁজ নেবে আইপিপিবি। সেই মতাে একজন ডাককর্মীকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় নিয়ােগ করা হবে। আগে থেকে প্রচারের ব্যবস্থাও থাকবে। এতে শিশুদের টিকাকরণে অনেকটা গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.