প্রচুর জলপান ও মুত্রত্যাগে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বেড়িয়ে যায়, সংক্রমণ প্রশমিত হয়, সঙ্গে সুষম আহার শক্তি জোগায় যুঝতে।
কোভিভকালে সঠিক পুষ্টি এবং হাইড্রেশন অত্যাবশ্যক। যারা দৈনন্দিন সুষম আহার করেন,তাদের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, অসুস্থতা এবং সংক্রামক রোগের ঝুঁকি অনেক কম হয়। তাই আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, ডায়েটারি ফাইবার, প্রােটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেতে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের তাজা এবং প্রক্রিয়াবিহীন খাবার খাওয়া উচিত। পর্যাপ্ত জল পান করুন । অতিরিক্ত ওজন, স্থূলতা, হ্রদরোগ, স্ট্রোক,ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযােগ্যভাবে কমাতে চিনি, চর্বি এবং লবণ এড়িয়ে চলুন।
যা খাবেন :
সতেজ খান ফলমূল, শাকসবজি, ডাল (যেমন মসুর ডাল, মটরশুটি), বাদাম এবং গোটা শস্য (যেমন, ভাত, আটার রুটি, ওটস, বা কন্দ জাতীয় শস্য যেমন আলু ইত্যাদি এবং প্রাণীজ প্রোটিন খাবার খান (যেমন মাংস, মাছ, ডিম এবং দুধ)।একটি সাধারণ হিসাবে আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই এগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে।
জলখাবারের জন্য চিনি, চর্বি বা লবণ বেশি থাকে এমন খাবারের পরিবর্তে কাঁচা শাকসবজি এবং তাজা ফল বেছে নিন। শাকসবজি এবং ফল বেশি রান্না করলে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলাে নষ্ট হতে পারে।
'জল পান করুন, চাঙ্গা থাকুন'
জল যে জীবনের জন্য অপরিহার্য তা সবাই জানেন। এটি রক্তে পুষ্টি পরিবহণ করে, আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য
করে এবং অস্থিসন্ধিগুলিকে লুব্রিকেট করে, কুশন করে।
সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে কমপক্ষে দুই লিটার জল পান করুন। আপনি অনান্য পানীয়, ফল এবং শাক-সবজিও খেতে পারেন যাতে জলের পরিমাণ বেশি, উদাহরণস্বরূপ ফলের রস, স্যুপ, ডাল, ঝোল ইত্যাদি। তবে চা কফি খুব বেশি গ্রহণ না করাই শ্রেয়। প্যাকেট করা মিষ্টি ফলের রস, সিরাপ, নরম পানীয় ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলিতে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি রয়েছে, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।
তেল খাবেন কম :
কোভিড আক্রান্ত হলে শরীরে পরিপাক পদ্ধতিতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। খাবারে অতিরিক্ত তেল থাকলে হজমে সমস্যা হতে পারে। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের (যেমন চর্বিযুক্ত মাংস, মাখন, নারকেল তেল, ক্রিম, পনির, ঘি ইত্যাদি) পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বি (যেমন মাছ, বাদাম, অলিভ অয়েল, সয়া, ক্যানােলা, সূর্যমুখী তেল ইত্যাদি) গ্রহণ করুন। রেড মিট (পাঁঠার মাংস)-এর পরিবর্তে মুরগির মাংস এবং মাছ বেছে নিন, যেগুলােতে সাধারণত চর্বি কম থাকে। প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে চর্বি ও লবণ বেশি থাকে। যেখানে সম্ভব, দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের কম চর্বি বা কম চর্বিযুক্ত সংস্করণ বেছে নিন।
প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্রান্স ফরট এড়িয়ে চলুন। এগুলি প্রায়ই প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, স্ন্যাক ফুড, ভাজা খাবার, হিমায়িত পিজ্জা, পাই, কুকিজ, মার্জারিন এবং স্পেড়গুলিতে পাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.