সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিটিং রিট্রিটের অনুষ্ঠান থেকে গান্ধীজির প্রিয় সঙ্গীত 'অ্যাবাইড উইথ মি'। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিটিং রিট্রিটের অনুষ্ঠান থেকে গান্ধীজির প্রিয় সঙ্গীত 'অ্যাবাইড উইথ মি'।

Gandhi's favourite hymn abide with me dropped

নয়াদিল্লি : মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় 'অ্যাবাইড উইথ মি' নিয়ে ফের বিতর্কের দানা বেঁধেছে। ২৯ জানুয়ারি বিটিং রিট্রিটে এবছর তালিকায় নেই খ্রিস্টিয় বন্দনা সঙ্গীতটি।


মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসের আগের দিন ঐতিহ্যের বিটিং রিট্রিট থেকে ‘অ্যাবাইড উইথ মি’ (Abide with me) বাদ পড়ায় সব মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় এই সঙ্গীতটির মাধ্য দিয়েই এতদিন সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটতো। এবার থেকে আর এই গান আর বাজবে না। বিটিং রিট্রিট ( Beating Retreat) অনুষ্ঠানে বাজানাে ২৬টি গানের একটি সরকারি তালিকা তৈরি হয়েছে। সেখানে ‘অ্যাবাইড উইথ মি' এর ঠাঁই নেই।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সাল থেকেই বিজয় চকের বিটিং রিট্রিটে অ্যাবাইড উইথ মি প্রার্থনা সঙ্গীতটি বাজানাে হয়ে থাকে।২০২০ সালে সঙ্গীতটি বাদ পড়ায় সেবারও এই নিয়ে প্রবল সমালােচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। তারপর গত বছর সঙ্গীতটি আবারও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।

সেই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল প্রতি বছরই বিটিং রিট্রিটের গানগুলি খতিয়ে দেখা হয়। নতুন গান যুক্ত করার চেষ্টা থাকে। যত বেশি সম্ভব ভারতীয় গান যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এবছর ফের গানটি সরিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র।

সারা দুনিয়ায় পরিচিত Abide with me সঙ্গীতটি ১৮৪৭ সালে লিখেছিলেন স্কটিশ কবি হেনরি ফ্রান্সিস লাইট।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এ গান জনপ্রিয় হয়েছিল।

প্রখ্যাত ব্রিটিশ নার্স এডিথ সাভেল, যিনি অধিকৃত বেলজিয়াম থেকে ব্রিটিশ সেনাদের পালাতে সাহায্য করার সময়ে জার্মান স্কোয়াডের গুলিতে আহত হয়েছিলেন, শােনা যায় তিনি তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবার আগে এটি আবৃত্তি করেছিলেন।

ভারতে এই প্রার্থনা সঙ্গীতটি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী এটির কথা উল্লেখ করায়।তিনি এটি প্রথম শুনেছিলেন মাইসাের প্যালেস ব্যান্ডে। আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রমের আশ্রম ভজনাবলীর মধ্যে এই সঙ্গীতটি ছিল। এখনও গির্জায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ গান গাওয়া হয়ে থাকে। বিদেশে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা এবং ব্রিটেনে সামরিক বাহিনীতে গানটি গাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু হয় সেনার রণশিঙ্গা বাদকদের ‘ফানফেয়ার বাই বাগলার্সের মাধ্যমে। এরপর ব্যাক পাইপার ও ড্রামস বাদকরা বাজান ‘বীর সৈনিক' গানটি।

সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ
ফোর্স ও আর্মি মিলিটারি ব্যান্ড বাজায় তিনটি দেশাত্মবােধক গানের সুর। অন্যদিকে চারটি সুর বাজিয়ে থাকে বায়ুসেনা ও নৌসেনার ব্যান্ডবাদকরা। জানা যায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এ গান খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad