হুগলি: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে সরকারি ইলেকট্রিক পােল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি ইলেকট্রিক পােল চুরির অভিযােগ ওঠে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় এ নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত তৃণমূল সদস্যের নাম রমেশ রায়। ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলি জেলার পােলবার আমনান পঞ্চায়েত এলাকায়। এই আমনান পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রমেশ রায়। স্থানীয়রা তাঁর বিরুদ্ধে সেইয়া গ্রামের সরকারি ইলেকট্রিক পােল চুরি করে অন্যত্র পালানাের অভিযােগে সরব হন ।
শনিবার রাত ৯ টা নাগাদ ঘটনাটির সূত্রপাত। বিষয়টি নজরে আসতেই এর প্রতিবাদ জানাতে বাঁধা দিতে যায় বিজেপির পােলবা মণ্ডলের সহ সভাপতি কমল রায়। সেই বাধার কারণে তৃণমূলের আমনান পঞ্চায়েত সদস্য তার দলবল নিয়ে আক্রমণ করে কমল রায়কে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এই আক্রমণে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন কমল রায়।
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব খবর পেয়েই তাকে সেই রাতে খুঁজতে যায়। রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি সেখান থেকে উদ্ধার করে পােলবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিবার আহত কমল রায়কে দেখতে চুঁচুড়া হাসপাতালে উপস্থিত হন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘােষ, হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্ব। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বিমান ঘােষ বলেন, আমাদের এক কার্যকর্তা রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। তৃণমূলের ১০ থেকে ১২ জন তাঁকে মারধর করে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের করতে হবে।
অপরদিকে বিজেপি কর্মী কমল রায় বলেন, সরকারি ইলেকট্রিক পােল রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে চলে যাচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয়। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল সদস্য রমেশ রায় কেন ইলেকট্রিক পােল অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অথবা কেনই বিজেপি নেতাকে মারধর করা হল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.