ডিম এমন একটি খাদ্য, যাকে সুপার ফুড বলা যেতে পারে। ডিমে রয়েছে সব রকমের পুষ্টি। এরমধ্যে কিছু পুষ্টি হয়তাে আধুনিক খাবারেও পাবেন না। সুতরাং, আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অবশ্যই ডিম খাওয়া উচিত।
ডিম খেলে যেসব উপকার পাবেন, তার মধ্যে রয়েছে -
কর্মক্ষমতা উন্নতিতে সাহায্য করে : ডিমে উচ্চ তৃপ্তি সূচক রয়েছে, ফলে ডিম খেলে অনেকক্ষণ পেটভরা থাকে। একটা বড় ডিম থেকে আপনি ৬ গ্রাম উচ্চ মানের প্রােটিন এবং ভিটামিন সি ছাড়া অন্যান্য প্রয়ােজনীয় পুষ্টি প্রচুর পরিমাণে পেয়ে যাবেন। তাই দেখবেন, ডিম এবং পাউরুটির সঙ্গে ফলের রস বা অরেঞ্জ জুস দেওয়া হয়, যা আপনাকে দীর্ঘসময় শক্তি জোগায়।
শরীরে আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে : প্রায় দেখা যায় অনেকে প্রায়ই ক্লান্তি, মাথাব্যথায় ভােগেন। কেউ বা একটুতেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। রক্তে অক্সিজেনের বাহক হল আয়রন। রোগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়াতে, বিপাক ক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরের বিভিন্ন কাজে আয়রনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ডিম থেকে যে আয়রন পাওয়া যায়, তা শরীরে খুব সহজে শােষিত হয়। এই আয়রন শরীরের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে ফলে রক্তাল্পতা দূর হয়।
খাবারে পুষ্টির মাত্রা বাড়ায় : যাঁরা ডিম খান এবং যারা খান না, তাদের মধ্যে সমীক্ষা চালানাে হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, যারা ডিম খান না তাদের ভিটামিন A, E এবং B -12'এর ঘাটতি হতে পারে। কিন্তু যাঁরা ডিম খান তারা প্রায় ২০-৩০ শতাংশ ভিটামিন A, E এবং B 12 পেয়ে যান।অর্থাৎ একটা খাবারই আপনাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি দিতে সক্ষম।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না : ডিম থেকে যে কোলেস্টেরল পাওয়া যায়, তা আমাদের শরীরে বিশেষ কোনও ক্ষতি করে না বরং ডিমকে প্রােটিনের সস্তা, বহুমুখী এবং হজমযােগ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : যাঁদের অতিরিক্ত ওজন, তারা প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে ডিম খাবেন, এতে আপনাদের স্যাটাইটি ইনডেক্স (তৃপ্তি সূচক) বাড়বে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমের কুসুম অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
সেদ্ধ ডিমে রয়েছে:
ভিটামিন A : ৬ শতাংশ ভিটামিন বি ৫ : ৭ শতাংশ ভিটামিন B 12 : ৯ শতাংশ ফসফরাস : ৯ শতাংশ ভিটামিন B 2 :১৫ শতাংশ সেলেনিয়াম : ২২ শতাংশ
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে : কোলাইন হল এমন এক পুষ্টি, যা ভ্রণ এবং নবজাতকের মস্তিষ্কের বিকাশের পাশাপাশি বৃদ্ধ বয়সেও স্মৃতিশক্তি কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। ডিম কোলাইনের চমৎকার উৎস। প্রতিদিন একটি করে ডিম গর্ভবতী মহিলার কোলাইনের চাহিদার ২৮ শতাংশ পূরণ করতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.