কলকাতা : শেষমেশ হাঁসখালির ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআই (CBI) এর হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় রাজ্যের হাতে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে এবং যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেই সব কিছু সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে,নদিয়ার হাঁসখালিতে এক নাবালিকার গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন দিল্লির নির্যাতিতা নির্ভয়ার মা আশাদেবী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য অসংবেদনশীল। তিনি যদি নির্যাতিতা সম্পর্কে এই ধরনের মনোভাব পোষণ করেন, তাহলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাই উচিত নয়। একজন মহিলা হিসেবে তিনি এই ধরনের মন্তব্য করলে তা ওই পদের সঙ্গে মানানসই হয় না।'
হাঁসখালির নির্যাতিতার বাবাও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে অত্যন্ত ব্যথিত। তিনি বলেন, 'মমতা কথা কী বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এই করে বললেন?
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় হাইকোর্টে স্বতঃ প্রণোদিত মামলা করার আবেদন জানিয়েছেন।
হাঁসখালিতে নিহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুধু তাই নয়, তিনি তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্যের উল্টো সুরে বলেছেন, 'মেয়েটির সঙ্গে ধর্ষকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না তাতে কিছুই আসে যায় না।যদি কোনও পূর্ণবয়স্ক পুরুষ নাবালিকার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তাহলে আইন তাকে ধর্ষণই বলে এবং সেভাবেই তার শাস্তি হবে।' এদিনই তিনি হাঁসখালি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তের পরিচয় যাই হোক, সে দুষ্কৃতী। এমন ঘটনা সরকার বিন্দুমাত্র বরদাস্ত করবে না।'
এদিন মহুয়ার সঙ্গে ছিলেন শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ার-পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। এদিকে এদিনই হাঁসখালি যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। নির্যাতিতার পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অধীর।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যেই স্পষ্ট যে, রাজ্য সরকার দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.