চলতি অর্থবর্ষে মদ বিক্রিতে রেকর্ড আয় রাজ্যের, ১৩ হাজার ৬০০ কোটি রাজস্ব। রেকর্ড মদ বিক্রিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে কোষাগার। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

চলতি অর্থবর্ষে মদ বিক্রিতে রেকর্ড আয় রাজ্যের, ১৩ হাজার ৬০০ কোটি রাজস্ব। রেকর্ড মদ বিক্রিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে কোষাগার।

Record profit from selling alchohol in west bengal

কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার চালাতে গত আর্থিক বছরে (২০২১-২০২২) প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্য সরকারের। চলতি আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের ব্যয়বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।


বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে এই সামাজিক প্রকল্পের টাকা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে প্রকাশ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু গত আর্থিক বছরে মদ বিক্রি থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় অনেকখানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। ফলে আগামী আর্থিক বছরে এই প্রকল্প চালাতে খুব বেশি সমস্যা হবে না বলেই অর্থ দপ্তরের কর্তারা মনে করছেন।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে মদ বিক্রি থেকে রাজস্ব আদায়ে প্রায় ১০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে রাজ্যের। গত নভেম্বর থেকে মদের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়ার পরেও মদ বিক্রি থেকে সরকারের লাভ বেড়েছে।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ের থেকে চলতি আর্থিক বছরে মদ বিক্রি থেকে ২০ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত আর্থিক বছরে মদ বিক্রি থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রাজ্য সরকার কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রাও অনেকখানি ছাপিয়ে গিয়েছে। আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে মদ বিক্রি থেকে রাজ্য সরকার ১৩,৬০০ কোটি টাকা।রাজস্ব আদায় করেছে। এই রাজস্ব আদায়ের প্রায় ৩০ শতাংশ শুধুমাত্র দেশি মদ বিক্রি করে রাজ্যের আয় হয়েছে। বিলাতি মদের দাম কমানোর ফলে তার বিক্রি আগের চেয়ে প্রায় ২০০শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নজিরবিহীন বলেই রাজ্যের আবগারি দপ্তরের কর্তারা মনে করছেন।

করোনার কারণে ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে কয়েকমাস মদের দোকান বন্ধ ছিল। দোকান খোলার পর মদের কর বৃদ্ধি হওয়ায় রাজস্ব আদায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা হয়েছিল।

গত বছর পুজোর সময় পাঁচদিনে মদ বিক্রি থেকে রাজ্যের ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল, যা ছিল সর্বকালীন রেকর্ড। বর্ষবরণে সাতদিনে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মদ বিক্রি থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল। গতমাসেই দোল উৎসবের সময় চারদিনে ২০০ কোটি টাকারও বেশি মদ বিক্রি হয়েছিল।

অর্থ দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব আদায়ে আবগারি দপ্তরের ওপরে।অনেকখানি ভরসা করতে হয়। মূলত আবগারি দপ্তর ছাড়াও পরিবহণ এবং ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে মোটা টাকা রাজস্ব আদায় হয়। কিন্তু করোনার কারণে পরিবহণ দপ্তরের বেশকিছু কর ছাড় দিয়েছে রাজ্য। ফলে ওই দপ্তরের রাজস্ব আদায় কমেছে।

করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখনও জমি-বাড়ি কেনাবেচা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি। ফলে সেখানেও বেশি রাজস্ব আদায় হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও জিএসটি বাবদ প্রাপ্য টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়াও সবুজ-সাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী সহ একাধিক প্রকল্প চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে আবগারি দপ্তর অনেকখানি স্বস্তি দিল বলেই মনে করছেন নবান্নের কর্তারা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad