উর্দুপি : হিজাব বিতর্ক মেটেনি কর্ণাটকে। এরিই মধ্যে ফের হিজাব বিতর্ক কর্নাটকের উর্দুপির সরকারি কলেজে। এর জেরেই শুক্রবার পরীক্ষা দিতে পারলো না উচ্চ-মাধ্যমিকের দুই ছাত্রী।
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে শুক্রবার হিজাব পরে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে এসেছিল আলিয়া আসাদি ও রেশম নামের দুই ছাত্রী, কিন্তু ওই দুই মুসলিম ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দিল না বিদ্যোদয় পিইউ কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, দু'জনেই এদিন হিজাব পরে কলেজে এসে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হলের টিকিট সংগ্রহ করে,কিন্তু হলে
ঢোকার সময় বোরখা খুলতে অস্বীকার করে তারা। কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আলিয়া আসাদি ও রেশম নামে দুই পড়ুয়া অনুরোধ করেন যাতে তাদের হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের নির্দেশে তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষার হলে পর্যবেক্ষক ও প্রিন্সিপালকে বোরখা পরে পরীক্ষা দিতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও রাজি হননি কেউ। অবশেষে দু’জনেই পরীক্ষা না দিয়ে কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
কয়েক মাস আগে এই কলেজেই হিজাব বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার ক্লাসে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলে রেশম ও আলিয়া-সহ কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কিন্তু গত মাসেই হাই কোর্ট রাজ্য সরকারের নির্দেশ বহাল রেখে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে।
শুক্রবার শুরু হওয়া এই বোর্ড পরীক্ষা চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। এদিন বিজনেস স্টাডিজের প্রথম পত্র ছিল। এ বছর প্রায় ৬.৮৪ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে।
পোশাকবিধি নিয়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রতিটি পরীক্ষা সেন্টার চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেছে বাসবরাজ বোন্নাই সরকার।
বোর্ড পরীক্ষা শুরুর আগে কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশ ফের জানিয়ে দেন, কোনও পড়ুয়াকে হিজাব পরে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে না।
কর্ণাটকের কোনও শিক্ষাঙ্গনেই হিজাব কিংবা কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে আসা চলবে না। শিক্ষাদপ্তর আগেই জানিয়েছিলেন স্কুলকর্তৃপক্ষকে। এই ঘটনার জেরে হিজাব বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.