কলকাতা : বিগত প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক ভেঙে পুরোনো ঘরে ফিরেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এরিই মধ্যে বহু ফাঁকফোকর চোখে পড়েছে তাঁর। উপলব্ধি হয়েছে, এই দলে থেকে মানুষের কাজ করা যায় না। কারণ, এই দল শুধু ফেসবুকের সংগঠন। কিন্তু মানুষের কাজটা করতে হয় মাঠে নেমে। কটাক্ষ করেছেন, বঙ্গ বিজেপি শুধুই এসি ঘরে বসে রাজনীতি করে। তিনি জানিয়েছেন ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়েছিলেন। বলেছেন পাট শিল্পকে বাঁচাতেই তাঁর দল ছাড়া। অর্জুনের দাবি উড়িয়ে প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip ghosh)-র পালটা কটাক্ষ, চাপের মুখে পড়েই তাঁর এই দল-বদল।
প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কথায়, ‘তৃণমূল পাট শিল্পকে বাঁচাতে পারবে? তৃণমূল বাঁচবে কিনা ঠিক নেই! কিছু একটা বাহানা তো দিতে হবে! ওঁর সঙ্গে এনিয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতারা কথা বলেছেন। পুরনো বাড়িতে গিয়েছেন, লজ্জা কিসের!
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে অর্জুন সিং বলেন, ঠান্ডা ঘরে বসে আর ফেসবুকে রাজনীতি হয় না। এর পালটা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ফেসবুকে যদি আমরা রাজনীতি করি তাহলে আমাদের ২০০ কর্মী খুন হলেন কীকরে? উনি তৃণমূল ছাড়ার পর ওঁর বিরুদ্ধে একশোরও বেশি কেস হয়েছে। উনি কি ঠান্ডা ঘরে বলে কেস খেয়েছেন? ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াই করাটা খুব কঠিন এই বাংলায়। উনি একা নন। এর আগেও অনেকে চলে গিয়েছিলেন তৃণমূল থেকে। তারা ফিরেও এসেছেন। চাপে পড়ে চলে গিয়েছে। ওঁর একাধিক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর হয়তো আর লড়াই করা সম্ভব ছিল না।'
দিলীপ ঘোষের সংযোজন, দলবদল রাজনীতির একটা অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কেউ তাড়াতাড়ি যান, কেউ একটু দেরি করে। তাঁর কথায়, যারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করেছেন তাদের পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কঠিন। প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছে না তাই সারেন্ডার করেছেন।একেবারেই বাধ্য হয়ে তৃণমূলে গিয়েছেন অর্জুন।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, ব্যারাকপুরে এবার বিজেপি মুখ কে? দিলীপ ঘোষ বলেন, অর্জুন সিংয়ের আগে যারা ছিলেন তারাই হবেন মুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.