৪৩ টি গরীব পরিবারের আবাস যোজনার আত্মসাৎ করা বরাদ্দকৃত টাকা ঢুকলো তৃণমূলের প্রধান ও নেতাদের অ্যাকাউন্টে । - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

বুধবার, ১৮ মে, ২০২২

৪৩ টি গরীব পরিবারের আবাস যোজনার আত্মসাৎ করা বরাদ্দকৃত টাকা ঢুকলো তৃণমূলের প্রধান ও নেতাদের অ্যাকাউন্টে ।

Tmc leader looting money from pm awas yojana scheme

গড়বেতার সন্ধিপুর বুথের ৪৩ টি পরিবারের আবাস যোজনার বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের প্রধান ও নেতারা। ৪৩ টি পরিবারের আবাস যোজনার টাকা তৃনমূলের আত্মীয়-দের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেওয়ার প্রশাসনিক তদন্ত প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি বঞ্চিত পরিবারগুলি ভাঙা ঘরে ত্রিপল টাঙিয়ে থাকলেও তাঁদের সেই বরাদ্দকৃত টাকা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তাজমুল মল্লিক, আঙ্গুরবালা সর্দারের কথায়, “কে শুনবে আমাদের কথা? পুলিশ, বিডিও কেউ পাত্তা দেয় না।”


গড়বেতা ১ নং ব্লকে সন্ধিপুরের বাসিন্দা তাজমুল মল্লিক, আঙ্গুরবালা সর্দার এমন ৪৩ জন সাইবার কাফেতে গিয়ে
জানতে পারেন তাঁদের নামে গৃহ আবাস যোজনায় দেড় লক্ষ করে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই বরাদ্দ টাকা তিন দফায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অন্যদের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলাও হয়েছে। এই গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সরফুদ্দিন মল্লিক সহ অঞ্চল নেতারা এমন দুর্নীতির সাথে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়।

প্রধানের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়া আজিমা বিবির দু’তলা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে। শুধুমাত্র সন্ধিপুর বুথে ৫৬ লক্ষ টাকার জালিয়াতি নজরে আসে ২০১৮-২০১৯ আর্থিকবর্ষে। বছরের পর বছর গরিব মানুষরা তাঁদের বরাদ্দকৃত অর্থ না পেয়ে ভাঙা ঘরে ত্রিপল টাঙিয়ে, কেউ বা দরমা বিছিয়ে বাস করছেন। ২০২০ সালে বঞ্চিত এমন ব্যক্তিরা অভিযোগ জানিয়েছিল ব্লক প্রশাসন দপ্তরে। তাতেও কোন সুরাহা হয়নি। গত তিন মাস আগে আবারও ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে একিই অভিযোগ জমা পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলেও অভিযোগ জানান বঞ্চিতরা। তারপরই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলা শাসক রশ্মি কমলের নির্দেশে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েন গড়বেতা ১ এর ভিডিও (BDO) শেখ ওয়াসিম রেজা।

সূত্রের খবর, ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে গড়া তদন্ত কমিটি অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন, সন্ধিপুর পঞ্চায়েতে একাধিকবার গিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। সেই তদন্ত থেকেই উঠে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গিয়েছে, তদন্তে ব্লক প্রশাসন জানতে পেরেছে, আবাস যোজনার তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অন্তত ৩০ জনের অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে ঢোকানো হয়েছিল ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে। শুধু সন্ধিপুরেরই নয়, টাকা ঢুকেছিল এই ব্লকের আমলাগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩ জন বাসিন্দার অ্যাকাউন্টেও।

আবাস যোজনার সরকারি অর্থ বণ্টনে কীভাবে ঘটল এত
বড় দুর্নীতির ঘটনা তা ব্লক প্রশাসন জানার চেষ্টা করছে বলে একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরে রেগার দেদার টাকা লুটের সঙ্গেই রয়েছে আবাস যোজনার ঘর লুটের ঘটনা। প্রতিটি ব্লকে এমন অভিযোগ এমনকি আমফানের সময়ে নকল রশিদের মাধ্যমে গরিব মানুষের নামে টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ শালবনী ব্লকের গড়মাল সহ আরও কয়েকটি জায়গায় গ্রামবাসীরা তুলেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad