শ্রীনগর : আবারও জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনী উপত্যকায় সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেল।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের চেয়ান দেবসর এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হল কুখ্যাত পাক জঙ্গি হায়দার। নিকেশ হয়েছে আরেক জঙ্গিও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হায়দার নামে পাকিস্তানের নাগরিক ওই জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba)-র কম্যান্ডার।
গত দু'বছর ধরে উপত্যকা অঞ্চলে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল লস্কর সদস্য হায়দার। এর আগেও অনেকবার তাকে ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী কিন্তু প্রতিবারই পালাতে সক্ষম হয়েছিল 'মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই জঙ্গি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সেনার কাছে খবর আসে একটি এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। গুলির লড়াইয়ে খতম হয় হায়দার,এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে আরেক লস্কর সদস্য স্থানীয় জঙ্গিও।
কাশ্মীর উপত্যকায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙতে তৎপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গত শুক্রবারই অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে সংঘর্ষে তিন সন্ত্রাসবাদী নিহতদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ আশরফ খান ওরফে আশরফ মৌলবী।
ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়। গত এপ্রিল মাসে এক এনকাউন্টারে কাশ্মীরে খতম হয়েছে লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার ইউসুফ কান্তরো-সহ দুই জঙ্গি। তার আগে কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের শোপিয়ান জেলার বদগামে খতম হয় অন্তত ৪ জঙ্গি। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি উলটে যায়। তাতে দুই সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। ওই এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গিরা সকলেই লস্করের সদস্য ছিল।
সম্প্রতি কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের উপদ্রব বেড়েছে। এবার উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে জঙ্গিরা মূলত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের টার্গেট করছে।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। একের পর এক খতম করা হচ্ছে জঙ্গিদের কমান্ডারদের। গত জুন মাসে শ্রীনগরে
নিকেশ করা হয় লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে। ফলে উপত্যকায় কার্যত কোণঠাসা জঙ্গিরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.