চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন একসঙ্গে রাস্তায় থেকে ঝড়-জল উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়েছেন নবম থেকে দ্বাদশের ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষক প্রার্থীরা। টানা চার বছর কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে তাঁদের কর্মসূচি চলেছে কিন্তু ২০১৯-এ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা একাংশ অনৈতিক ভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগে সরব অন্যরা।
সম্প্রতি প্রকাশিত হাওড়া-হুগলির শিক্ষকদের মেডিক্যাল টেস্টের একটি তালিকার সূত্রে বিষয়টি সামনে এসেছে।
সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের হাতে আসা ওই তালিকা অনুযায়ী, সংস্কৃত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংরক্ষিত আসনে অতীতের দু'জন আন্দোলনকারী নিয়োগপত্র পেয়েছেন র্যাঙ্ক জাম্প করে।
একাদশ-দ্বাদশে সংস্কৃতে তফসিলি জাতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে
অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (OBC-4) ক্যাটেগরিতে ষষ্ঠ কাউন্সেলিংয়ে ওয়েটিং লিস্টের ৩৫ ও ২৫ নম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা শেষ ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার সিবিআই-এর কাছে জমা পড়া অভিযোগে জানানো হয়েছে, স্নাতকোত্তরে চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন একসঙ্গে রাস্তায় থেকে ঝড়-জল উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়েছেন নবম থেকে দ্বাদশের ওয়েটিং লিস্টে থাকা।শিক্ষক প্রার্থীরা। টানা চার বছর কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে তাঁদের কর্মসূচি চলেছে। কিন্তু ২০১৯-এ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা একাংশ অনৈতিকভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগে সরব অন্যরা।
সম্প্রতি প্রকাশিত হাওড়া-হুগলির শিক্ষকদের মেডিক্যাল টেস্টের একটি তালিকার সূত্রে বিষয়টি সামনে এসেছে।সিবিআই আধিকারিকদের হাতে আসা ওই তালিকা অনুযায়ী, সংস্কৃত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংরক্ষিত আসনে অতীতের দু'জন আন্দোলনকারী নিয়োগপত্র পেয়েছেন র্যাঙ্ক জাম্প করে। একাদশ-দ্বাদশে সংস্কৃতে তফসিলি জাতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (OBC-4) ক্যাটেগরিতে ষষ্ঠ কাউন্সেলিংয়ে ওয়েটিং লিস্টের ৩৫ ও ২৫ নম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা শেষ ডাক পেয়েছিলেন কিন্তু শনিবার সিবিআই-এর কাছে জমা পড়া অভিযোগে জানানো হয়েছে, স্নাতকোত্তরে সংগঠনের ওই দু'জন তাঁদের বোকা বানিয়ে ২০১৯-এ সরকারি চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন। যার সূত্রে অঙ্কিতা অধিকারীর পাশাপাশি একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে আরও ‘র্যাঙ্ক জাম্পে'র অভিযোগ জমা পড়ল।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) কর্তারা জানাচ্ছেন, একাদশ-দ্বাদশে যে পদগুলিতে শিক্ষকরা চাকরি পেয়েও যোগ দেননি, সেখানে ছ'দফায় ওয়েটিং লিস্টের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্যানেলের মেয়াদ থাকাকালীন ২০১৯-এর মধ্যে সুপারিশ-পত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিকাশ ভবনের কর্তাদের মতে, এ ভাবে দুর্নীতির খোঁজ পাওয়াটা আন্দোলনকারী-দের কাছে অভিনব হতে পারে। কমিশনের কাছে নয়।
কারণ কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, শিক্ষাকর্মী (গ্রুপ সি-ডি) নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্ধিত নিয়োগের সুপারিশ তারা করেনি। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্যদ পাল্টা জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশেই তারা ওই নিয়োগপত্র দিয়েছে কিন্তু নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয়, ফলে এসএসসি-র কাছে কোন স্তরে, কোন বিষয়ে এবং কাকে র্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে, সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আছে।
এসএসসি-র ডেটা রুম ইতিমধ্যে সিল করেছে সিবিআই। সেখান থেকেই তারা শিক্ষক নিয়োগের তথ্য পেয়ে যাবে।
অভিনব হলো, এই অভিযোগের হাত ধরে বিকাশ ভবনের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে স্কুলশিক্ষা স্কুলশিক্ষা দপ্তরেরই তৈরি নতুন বিধি ! কারণ ২০১৮ সালে দপ্তরই রাজ্যে সরকারি ও সাহায্য-প্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিধি বদল করেছিল। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগেও মেডিক্যাল টেস্ট ও পুলিশি ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়।
আন্দোলনরত যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের সম্পাদক প্রকাশ ঘোষ জানান, প্রেস ক্লাবের সামনে, ২০১৯ সালে অনশনরত-দের মধ্যে পাঁচজনকে নিয়ে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে কমিটি হয়েছিল।র্যাঙ্কে পিছনে থেকেও আগেই তাঁদের চাকরি হয়েছিল। এ বার অনশন কমিটির হিসাবের দায়িত্বে থাকারাও একইভাবে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.