বাঁকুড়া : আইসিডিএস (ICDS) সেন্টারে আবারও অভিযোগ উঠল নিম্নমানের খাবারের।
আইসিডিএস সেন্টারে এবার খিচুড়িতে পাওয়া গেল সাপ!আর তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে৷ আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শনিবার চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। শিশুদের নিয়ে সোজা বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ছুটতে শুরু করে দেন অভিভাবকেরা। প্রসূতি মায়েদেরও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বেশ কয়েকজন বাচ্চা বমি করতেও শুরু করে। এক প্রসূতি মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১১ জন শিশুকে ভর্তিও করা হয়েছে সেখানে।
তবে হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল বলেন, ‘বাচ্চারা সকলেই সুস্থ রয়েছে রয়েছে। কারও উপসর্গ নেই। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে সকলকে।'
ঘটনাটি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ৮ নং ওয়ার্ডের গাবডোবা এলাকার। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও বিষ্ণুপুরের গাবডোবা ICDS কেন্দ্রে শিশু ও প্রসূতি মায়েদের বিলি করা হয়েছিল রান্না করা খাবার। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সেই খিচুড়ি থালায় ঢেলে বাচ্চাদের খাওয়াতে গিয়ে এক মহিলা লক্ষ্য করেন, খাবারের মধ্যে সাপের মতো কিছু একটা রয়েছে। বাচ্চাদের না দিয়ে এর পর ওই খিচুড়ি ফেলে দেন তাঁরা। দ্রুত সেই খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য অভিভাবকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাচ্চাদের নিয়ে সোজা হাজির হয়ে যান হাসপাতালে। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছন বিষ্ণুপুরের SDO অনুপকুমার দত্ত, CDPO জয়ব্রত কুণ্ডু। শিশু ও তাঁদের সুস্থ শিশুরা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন এসডিও। কথা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও।
এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই বাড়িটিতে গিয়েছিলেন আইসিডিএস-এর কর্মী। তবে আগেই ফেলে দেওয়ায় খিচুড়ির মধ্যে ঠিক কী ছিল তা আর আইসিডিএস কর্মীকে দেখাতে পারেননি ওই মহিলা। প্যানিক থেকেই এমন হুলস্থুল কাণ্ড বলে মনে করছে প্রশাসন।
বিষ্ণুপুরের এসডিও অনুপকুমার দত্ত বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। বাচ্চারা সকলে ভালো রয়েছে।
কারও কোনও সমস্যা নেই। ওই খিচুড়ির মধ্যে আদৌ সাপ
ছিল কি না সেটা খোঁজখবর করে দেখা হচ্ছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.