বাঁকুড়া : পঞ্চায়েতের গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের মানুষ হাতে নাতে ধরে ফেলল তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি সহ চারজনকে। এলাকার মানুষের চাপে এই চারজনকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে ইন্দাস থানার সাহসপুর অঞ্চলের নারানপুর গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য এর আগে গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। মানুষ বুঝতে পারেনি। বুধবার প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটার পরই মানুষের হাতে এই গাছ চোর তৃণমূলীরা ধরা পড়ল।
বুধবার সকালে গ্রামের মানুষজন দেখেন বাইরে থেকে
কয়েকজন লোক এসে গাছ কাটছে। গ্রামের মানুষ কেন গাছ কাটা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনও কিছুই বলতে রাজি হয়নি। মানুষ তাদের আটকে ধরে পুলিশের খবর দেন। পুলিশ ও বন দপ্তর থেকে লোকজন এসে প্রথমে তিনজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরা হলো বেরঘোষ গ্রামের ২ জন, হলদির ১ জন। পরে জানা যায় এই গাছগুলি কিনেছিল খাড়রা গ্রামের এক ব্যক্তি। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই বেরঘোষ গ্রামের মানুষজন ইন্দাস থানায় এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা জানান, যারা গাছ কাটছিল তারা তো মজুরির বিনিময়ে এই কাজ করছিল, তাদের এই গাছ কাটতে বলছিল তৃণমূলের নেতা নারানপুরের স্থানীয় বুথ সভাপতি হরিশঙ্কর সাম তাকে কেন গ্রেফতার করা হবে না।
পুলিশ বিষয়টি শুনে নীরব থাকার পর বেরঘোষ গ্রামের
মানুষজনই, ইন্দাসের একটি জায়গায় বসে থাকা তৃণমূলের নেতা হরিশঙ্কর সামকে সেখান থেকে টেনে বের করে পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। তাঁদের চাপের মুখে পড়েই উক্ত তৃণমূলের নেতাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের একটি অংশের লোকজন জানান, ২১ জুলাই তাদের যে সভা আছে তাতে যাওয়ার জন্য গাড়িভাড়া, খাওয়ার খরচ তোলার জন্যই পঞ্চায়েতের গাছ কাটা হচ্ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.